মহাকাশেও আগ্নেয়গিরি, বাগানে জল দেওয়ার মত ওটা কি হচ্ছে
বাগানে যেমন করে জল ছেটানো হয়, স্প্রিঙ্কলার দিয়ে বাগান ভেজানো হয়, তেমন কাণ্ড ঘটছে ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে। এ কি কাণ্ড দেখল নাসার টেলিস্কোপ।
মহাকাশে যে কত কিছুই ঘটে চলেছে তার পুরো খবর কি কখনও রাখা সম্ভব? এখন জিজ্ঞাসা করলে তার একটাই উত্তর দেবেন বিজ্ঞানীরা। আর সেটা হল, না। কারণ এখনও প্রতিদিন তাঁরা এমন কিছু দেখতে পাচ্ছেন, এমন তথ্য হাতে আসছে, এমন ছবি হাতে আসছে, যা তাঁদেরও মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছে। হতবাক করে দিচ্ছে।
এটাও যে মহাকাশে ঘটতে পারে তা জেনে অবাক হচ্ছেন তাঁরা। যেমন অতি শক্তিধর স্পেস টেলিস্কোপ হাবল ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে এমন এক নাক্ষত্রিক বিষয় দেখেছে যা বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়েছে।
৭০০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্রপুঞ্জে এমন একটি নক্ষত্রের দেখা পেয়েছে হাবল যা সকলের থেকে আলাদা। অনেক বেশি উজ্জ্বল। যেন আলো ঠিকরে বার হচ্ছে। সেখানে ভয়ংকর বিস্ফোরণ হচ্ছে। হয়েই চলেছে।
আর বিস্ফোরণ হলে ছিটকে বার হচ্ছে অতি উজ্জ্বল গ্যাস। যা কার্যত ঝলমল করে জ্বলছে। ঘাসের মাঠে বা বাগানে জল দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে স্প্রিঙ্কলার লাগানো থাকে। যা জল দেওয়ার হলে মাটির উপরে এসে জল ছেটাতে থাকে।
চারধারে ছড়িয়ে পড়ে ফোয়ারার মত জল। এক্ষেত্রে যে মহাজাগতিক নাক্ষত্রিক ঘটনা ঘটছে তা ঠিক সেরকম। যেন একটি আগ্নেয়গিরি ফেটে তা থেকে ছিটকে বার হচ্ছে ঝলমলে আলোর গ্যাস।
যে নক্ষত্রে এমনটা হচ্ছে তা আদপে একটি জোড়া নক্ষত্র। বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন আর অ্যাকুয়ারি। এটি যে ২টি নক্ষত্রের মিশ্রণে তৈরি তার একটি হল প্রাথমিক নক্ষত্র। যেটি একটি পুরাতন লাল নক্ষত্র।
আর তার সঙ্গে লেগে আছে একটি প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া নক্ষত্র। যা ডোয়ার্ফ জায়েন্ট হয়ে লেপ্টে আছে। প্রসঙ্গত এই জোড়া নক্ষত্রের যে প্রাথমিক নক্ষত্রটি রয়েছে তা সূর্যের চেয়ে ৪০০ গুণ বড়।