মঙ্গলগ্রহে হাড় হিম করা ভূতুড়ে ফিসফিস শুনল নাসার যান
মঙ্গলগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে নাসার যান। অনেক শব্দও রেকর্ড করছে। আর সেখানেই শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইয়ে দেওয়া শব্দ পেল সে।
লাল গ্রহে ঘুরে প্রচুর ছবি তুলছে নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স। তথ্য সংগ্রহ করছে, পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে, আবার শব্দও রেকর্ড করছে। পারসিভিয়ারেন্স এখন জেজেরো ক্রেটারের খাড়াই ঢাল বেয়ে উপরিতলের তথ্য সংগ্রহ করছে।
সেই পারসিভিয়ারেন্স এমন কিছু পাঠাল যা যে কোনও মানুষের হাড় হিম করে দিতে পারে। অন্তত বিজ্ঞানীরা তেমনই মনে করছেন। একটি শব্দ এমন এসেছে ঠিক যেন একটি কঙ্কালের হাড়ে হাড়ে ঠোকাঠুকি হচ্ছে।
কঙ্কালের খটখট শব্দ চমক দেয়। কারণ লাল গ্রহে তো প্রাণ নেই। কঙ্কালও নেই! আবার মঙ্গলগ্রহে অনুর্বর পাথুরে জমির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভূতুড়ে ধুলোর শব্দ শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইয়ে দিতে পারে।
জেজেরো ক্রেটারের ঢাল দিয়ে উপরে ওঠার সময় রহস্যে ভরা লাল গ্রহের আরও অনেক গোপন কথা জানার চেষ্টা করেছে পারসিভিয়ারেন্স। সেখানে এমন কিছু হালকা রংয়ের পাথর পেয়েছে নাসার যান যা দেখে মনে হবে হাড় এবং সমাধি যেন সেখানে শুয়ে আছে মাটির ওপর।
আবার এই পথেই মিস্ট পার্ক নামে জায়গায় একধরনের কালচে পাথরের সন্ধান পেয়েছে পারসিভিয়ারেন্স। এভাবে লাল গ্রহে পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রহস্য। তথ্য সংগ্রহে এলেও অনেক কিছু বিজ্ঞানীদের কাছেও ধোঁয়াশাই হয়ে থাকছে।
এমন সব পাথর বা শব্দ তাঁদের হাতে এসে পৌঁছচ্ছে যা তাঁদেরও ভাবনার অতীত। ফলে সে রহস্য উন্মোচিত করার চেষ্টায় দিন রাত এক করছেন বিজ্ঞানীরা।