হাতে এল ভিনগ্রহের টুকরো, আসতে চলেছে পৃথিবীতে
অবশ্যই এ এক ইতিহাস। অন্য গ্রহের পাথরের টুকরো এবার আসতে চলেছে পৃথিবীতে। যা অনেক লড়াইয়ের পর বন্দি করা সম্ভব হয়েছে বাক্সে।
জিনিকে যেমন এক প্রদীপে বন্দি করা গিয়েছিল, তেমনই মহাজগতের এক পাথরের টুকরো বন্দি হল বিশেষ বাক্সে। যে সে পাথরের টুকরো নয়। এ হল মঙ্গলগ্রহের পাথরের টুকরো।
একটা পেনসিলের চেয়ে সামান্য মোটা পাথরের টুকরোকে বাক্সবন্দি করতে বিজ্ঞানীরা হিমসিম খেয়ে গেছেন। গত অগাস্ট মাসের প্রথম দিকেই চেষ্টাটা হয়েছিল।
লাল গ্রহে নাসার পাঠানো যান পারসিভিয়ারেন্স রোভার তখনই চেষ্টা করেছিল মঙ্গলের মাটি থেকে পাথর সংগ্রহ করার। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
থেমে থাকেনি পারসিভিয়ারেন্স রোভার। ফের সে চেষ্টা করে সেপ্টেম্বরে এসে পাথর সংগ্রহের। কাজটা সহজ নয়। প্রথমে ড্রিল করে মাটি খুঁড়ে তার তলা থেকে বার করে আনতে হবে পাথর।
৬ চাকার স্বয়ংচালিত রোভার যানটি মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারে জমি ধরে এগোচ্ছিল অগাস্টে। এই ক্রেটারেই ছিল একটি বিশাল জলাশয়। ছিল নদীর বদ্বীপ।
তাই সেখানে প্রাণের নজির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাই ঠিক ওই জায়গায় অগাস্ট মাসে ব্যর্থ হলেও সেখানেই এবার সফল হল রোভার।
মাটি খুঁড়ে সে তুলে আনল পাথরের কাঙ্ক্ষিত টুকরো। যা একটি পেনসিলের চেয়ে একটু মোটা। তারপর সেটিকে বন্দি করল।
২ মিটার লম্বা রোবোটিক হাত দিয়ে মাটি খোঁড়ে রোভার। তারপর বিশেষ টিউবে ভরে ফেলে পাথরের নমুনা। এই প্রথম মঙ্গলগ্রহ থেকে পাথর সংগ্রহ সম্ভব হল। যা অবশ্যই এক ইতিহাস লিখল।
নাসার বিজ্ঞানীরা দ্রুত এবার এই নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। কারণ ওই ছোট এক টুকরো পাথরে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্যের কিনারা। যা হাতে পেলে মঙ্গল সম্বন্ধে যাবতীয় কিন্তু যাবে কেটে। একদম সঠিকভাবে মঙ্গলগ্রহকে জানার দিকে আরও কয়েক কদম এগিয়ে যাবে বিজ্ঞান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা