নানা আলোর চোখ ধাঁধানো প্রদর্শনী, আকাশে এমন ঘটনা আগে দেখেননি বিজ্ঞানীরা
এত রংবেরংয়ের প্রদর্শনী। এমন দৃশ্য মোটেও দেখা হয়নি তাঁদের। আকাশে চোখ রেখে অনেককিছুই দেখা যায়। কিন্তু এমনটা দেখা যায়নি। কোথায় দেখা গেল এই দৃশ্য।
রঙিন আলোর রোশনাই দিওয়ালীর অঙ্গ। দিওয়ালীর সময় দেশ ভরে ওঠে রঙিন আলোর ঝলকানিতে। রাস্তাঘাট, বাড়ি, প্যান্ডেল, মন্দির সবই সেজে ওঠে আলোর খেলায়। সে তো জাগতিক বিষয়। কিন্তু মহাজাগতিক দিওয়ালীও যে হয়।
আকাশেও নানা আলো যে একটি নক্ষত্রপুঞ্জে খেলা করতে পারে তা আগে বড় একটা নজরে পড়েনি। এটা পড়ল অতি শক্তিধর হাবল স্পেস টেলিস্কোপের হাত ধরে। আকাশে খোলা চোখে এ দৃশ্য অবশ্য দেখা সম্ভব নয়।
সাধারণ টেলিস্কোপেও নয়। কারণ এই আলোর উৎসব পালিত হচ্ছে পৃথিবী থেকে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে। সেখানে একটি সর্পিল নক্ষত্রপুঞ্জ ভরে আছে অগুন্তি তারায়। যা থেকে নানা রং ঠিকরে বার হচ্ছে।
এই রং চোখ জুড়িয়ে দিচ্ছে। এই নক্ষত্রপুঞ্জটি অন্য দেখা নক্ষত্রপুঞ্জগুলির চেয়ে আলাদা। এখানে হাইড্রোজেন বুদবুদ এক উজ্জ্বল লাল আলোয় ভরিয়ে রেখেছে। হাইড্রোজেন বুদবুদগুলি নতুন তৈরি হওয়া তারার তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে এসে এমন আলো হয়ে ফুটে উঠছে।
এনজিসি ১৬৭২ নামে এই নক্ষত্রপুঞ্জটির একদম মধ্যিখানটাও বিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছে। এই অংশটি অতিমাত্রায় উজ্জ্বল। এখানে থাকা তারারা একধরনের এক্স-রে বিচ্ছুরিত করছে।
এই সক্রিয় নতুন নিউক্লিয়াসটি অতিশক্তিশালী এক্স-রে বিচ্ছুরণের জেরেই এমন প্রবলভাবে উজ্জ্বল। এই নক্ষত্রপুঞ্জ এবং তার রংয়ের খেলাই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। এ যেন আকাশে দেওয়ালী পালন চলছে।