শুক্রে ইতিহাস লেখা শেষ, এবার সূর্য স্পর্শ করবে মানবসভ্যতা, প্রহর গোনা শুরু
মানবসভ্যতার জন্য একটি ইতিহাস তৈরি হল আর অন্যটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কবে হবে সূর্যের সঙ্গে মানবসভ্যতার অন্তরঙ্গ মোলাকাত। অপেক্ষা সামান্য সময়ের।
মানবসভ্যতার জন্য যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিল পার্কার। শুক্রগ্রহের মাটির ৩৭৬ কিলোমিটার দূর থেকে শুক্রকে প্রদক্ষিণ করে ফেলল সে। যা আজ পর্যন্ত মানুষের তৈরি কোনও যান করে উঠতে পারেনি।
শুক্রের এত কাছে কেউ পৌঁছতে পারেনি। এ এমন এক ইতিহাস রচনা হল যা মানবসভ্যতার জন্য গর্বের। আর বিজ্ঞানীদের জন্য বড় প্রাপ্তি। কারণ এত কাছ থেকে শুক্রগ্রহকে প্রদক্ষিণ মানে তার খুঁটিনাটি তথ্য হাতে আসা।
যা আগামী দিনে শুক্রগ্রহকে আরও ভাল করে চিনতে সাহায্য করবে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পার্কারের লক্ষ্য এবার সূর্যকে ছুঁয়ে দেখা।
মানুষের তৈরি কোনও যান এখনও সূর্যের এত কাছে পৌঁছতে পারেনি যা পার্কার পৌঁছতে চলেছে। তাও এখন নিছক সময়ের অপেক্ষা।
শুক্রগ্রহকে সবচেয়ে কাছ থেকে প্রদক্ষিণের পর এবার পার্কার ছুটে চলেছে সূর্যের দিকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পার্কার পৌঁছে যাবে অভীষ্ট লক্ষ্যে। তখন সূর্যের উপরিভাগ থেকে সে মাত্র ৩.৮৬ মিলিয়ন মাইল দূরে থাকবে।
সূর্যের এত কাছে আজ পর্যন্ত মানুষের তৈরি কোনও যান পৌঁছতে পারেনি। এখানে পৌঁছে যাওয়া মানে কার্যত সূর্য স্পর্শ করা। এখান থেকে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করতে পারলে সূর্যকে নতুন করে হয়তো চিনতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
সূর্যের নানা রহস্য উন্মোচিত হবে তাঁদের কাছে। নভেম্বরে শুক্রের কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং ডিসেম্বরে সূর্য স্পর্শ করা পার্কারকে চিরদিন মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক অমূল্য রত্ন করে রেখে দেবে।