লাল গ্রহের রহস্যময় এলাকায় শেষবার রহস্য পাথরের দিকে ঘুরে তাকাল কিউরিওসিটি
লাল গ্রহের যত বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছচ্ছে রোভাররা, ততই রহস্য যেন ঘনীভূত হচ্ছে। এবার এক রহস্যময় স্থান থেকে মুখ ঘোরাল কিউরিওসিটি। চেয়ে দেখল রহস্যে ঘেরা সেই পাথর।
লাল গ্রহ মানেই যেন পরতে পরতে রহস্য। একদিকে যেমন পারসিভিয়ারেন্স নানা রহস্যের জট খুলে চলেছে তেমনই কিউরিওসিটি মঙ্গলের অন্য দিকে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নীরবে। দীর্ঘসময় ধরে নাসার রোভার কিউরিওসিটি ঘুরছিল গেডিজ ভালিস চ্যানেলে।
এই চ্যানেল মঙ্গলে এমন এক জায়গা যাকে কিছুতেই চিনে উঠতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। এটাও বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে এই স্থান তৈরি হল। পুরো জায়গাটা জুড়েই রহস্য। যে রহস্যের জট খুলতে পারেননি বিজ্ঞানীরাও।
সেখানেই কিউরিওসিটি দেখা পেয়েছে এক বিশেষ ধরনের পাথরের। যা মঙ্গলে আগে দেখা যায়নি। পাথরগুলি পুরোটাই তৈরি বিশুদ্ধ সালফার দিয়ে। সালফারের প্রস্তরখণ্ড মঙ্গলগ্রহে কীভাবে তৈরি হল তা নিয়ে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
এখনও বিষয়টি তাঁদের কাছে অবাক করা। এবার সেই রহস্যে ঘেরা গেডিজ ভালিস চ্যানেল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে কিউরিওসিটি। তার আগে সে একটি ৩৬০ ডিগ্রিতে এই জায়গার ছবি সংগ্রহ করেছে। যেখানে সে শেষবারের জন্য সালফারের পাথরের দিকে নজর দিয়েছে।
প্রাচীন লাল গ্রহে কি কোনও জীবনের স্পন্দন ছিল? সেটাই খুঁজে দেখছে কিউরিওসিটি। জীবনের জন্য যে উপাদানগুলি দরকার তা মঙ্গলগ্রহের কোথাও পাওয়া যায় কিনা তা তার খোঁজের বিষয়।
শত শত কোটি বছর আগে লাল গ্রহে নদী বয়ে যেত। ছিল দিঘি, ঝর্ণা। সে সময় জল যখন ছিল তখন কি কোনও জীবনের সৃষ্টি হয়নি? সেটাই খুঁজে পেতে মরিয়া কিউরিওসিটি।