লাল গ্রহের এই পাথরে রহস্যের গন্ধ, পিকো টারকুইনো পৌঁছে গোয়েন্দাগিরি শুরু নাসার যানের
লাল গ্রহের জেজেরো ক্রেটারের কাজ শেষ করে এখন তার গা বেয়ে উপরে এসেছে পারসিভিয়ারেন্স। জেজেরোর ধার ধরে বেড়াতে গিয়ে পৌঁছল পিকো টারকুইনোতে।
পিকো টারকুইনো শব্দটা অনেকের জানা। কিউবা নামে দেশটির সর্বোচ্চ বিন্দুকে বলা হয় পিকো টারকুইনো। যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। তবে কেবল পৃথিবী নয়, মঙ্গলগ্রহেও রয়েছে পিকো টারকুইনো।
মঙ্গলগ্রহের জেজেরো ক্রেটারে দীর্ঘদিন কাটানোর পর এখন নাসার রোবোটিক যান পারসিভিয়ারেন্স জেজেরোর খাড়াই ঢাল বেয়ে উপরে পৌঁছে জেজেরোর ধার ধরে চক্রাকার অংশ ঘুরে দেখছে।
আর এই ঘুরে দেখতে গিয়েই সে পৌঁছে গেছে মঙ্গলের পিকো টারকুইনো-তে। যেখানে পৌঁছনোর পর তার কাজ শুরু করেছে পারসিভিয়ারেন্স। মঙ্গলের রহস্য উন্মোচনে তার গোয়েন্দাগিরি শুরু করে দিয়েছে সে।
এই অংশে যে ধুধু প্রান্তর দেখতে পেয়েছে পারসিভিয়ারেন্স তা চেনা হলেও এখানে ছড়িয়ে থাকা পাথরগুলি বেশ অন্যরকম। আর সেটাই ভাবাচ্ছে নাসার বিজ্ঞানীদের। তাঁদের আশা এই পাথরই বলে দেবে জেজেরো ক্রেটার তৈরির জন্য বহু বহু কাল আগের কোনও এক ধাক্কার ইতিহাস।
বলে দেবে মঙ্গলগ্রহের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের কথা। কোটি কোটি বছর ধরে যে পরিবর্তন মঙ্গলে ঘটেছে তার রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানীদের প্রভূত সহায়ক হতে পারে এই পাথর বলেই মনে করছে নাসা।
এই পাথরগুলি এখন খুঁটিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। সাহায্য করছে পারসিভিয়ারেন্সের লাগাতার পাঠাতে থাকা বিভিন্ন তথ্য। মঙ্গলগ্রহের আরও এক রহস্য হয়তো এই পাথরের হাত ধরেই উন্মোচিত হতে চলেছে। এমন আশায় বুক বাঁধছেন মহাজাগতিক সত্য উদ্ঘাটনে ব্যস্ত মানুষজন।