পৃথিবীতে এত জল এল কোথা থেকে, বিতর্কের মাঝেই নতুন উত্তর খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে এত জল এল কোথা থেকে তা চিরকালই একটা প্রশ্ন। যা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যেই মতবিরোধ আছে। তবে এবার এক নতুন তত্ত্বকেই সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীতে এত জল এল কোথা থেকে? কারণ পৃথিবীর এই জলই কিন্তু পৃথিবীকে বাসযোগ্য করেছে। জীবনের প্রথম স্পন্দন উপহার দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মধ্যে অবশ্য পৃথিবীতে এত জল আসার কারণ নিয়ে কিছুটা হলেও মতবিরোধ আছে।
মনে করা হয় ৪৬০ কোটি বছর আগে মহাকাশে ভেসে বেড়ানো গ্যাস ও ধূলিকণার হাত ধরেই পৃথিবীতে জল আসে। কিন্তু তার অনেকটা বাষ্পীভূতও হয়ে যায়। তার কারণ ছিল সেই সময় সূর্যের প্রখর তেজ। যা পৃথিবীতে আসা সেই জলের একটা অংশকে বাষ্পীভূত করে দিতে সাহায্য করে।
তাহলে পৃথিবীতে এত জল এল কোথা থেকে? এমন সব মহাসমুদ্র সৃষ্টি হল কীভাবে? পৃথিবীর সিংহভাগ অংশই বা জলে ভরল কীভাবে? এর উত্তর নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও বিজ্ঞানীদের বড় অংশ মনে করেন জল এসেছে পৃথিবীর বাইরে থেকে।
সম্প্রতি একটি পরীক্ষার পর নাসার একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন পৃথিবীর মহাসমুদ্রে যে জল পাওয়া যায় তার আণবিক গঠন এবং ধূমকেতু ৬৭পি-এর আণবিক গঠন একদম এক। হুবহু মিলে যাচ্ছে।
তাই তাঁদের ধারণা এই ৬৭পি নামে ধূমকেতুর হাত ধরেই পৃথিবী মহাসমুদ্রে ভরেছিল। এই ধূমকেতুটি আবার বৃহস্পতিগ্রহের সংসারের অংশ। সেই ধূমকেতুই পৃথিবীতে বয়ে এনেছিল এত জল।
বিজ্ঞানীরা এও মনে করেন যে পৃথিবীতে জল তৈরি হওয়ার আরও একটি কারণ হল আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরি থেকে যে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ওঠে তা থেকেই জলীয় বাষ্প তৈরি হয়ে তা পৃথিবীর একটা অংশের জল তৈরি করেছিল।