নীল জলে উত্তপ্ত কমলা হানা, পারদ চড়ল হিমশীতল পর্যটনকেন্দ্রের
নীল জলে হানা দিল উত্তপ্ত কমলা স্রোত। যার জেরে হিমশীতল পর্যটনকেন্দ্রের পারদ চড়েছে। অবশ্যই তার প্রভাবও পড়েছে আশপাশে।
এখানে সারাবছরই শীত। কখনও হাড় কাঁপানো, তো কখনও একটু কম। প্রকৃতি এখানে যেমন সুন্দর, তেমনই ভয়ংকর। পাহাড়, বরফ, সমুদ্রের খাঁড়ি, উপহ্রদ সবই রয়েছে এখানে। খুব বেশি মানুষ এ দেশে থাকেন না। সেই আইসল্যান্ডের মাটি কেঁপে উঠল। তারপরই ফের অগ্নুৎগার।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে একের পর এক অগ্নুৎগার হয়েই চলেছে। রিকয়ানেস উপদ্বীপে আগ্নেয়গিরি জ্বালামুখ গত ১ বছরে ৭ বার ফেটেছে। গড়িয়ে পড়েছে গলিত লাভা। যা তার লাগোয়া নীল জলভাগকে দখল করেছে।
লাভার স্রোত জলভাগের ওপর পড়ে তাতে নিজের দখলদারি তৈরি করেছে। কমলা গলিত লাভার দখলে চলে গেছে নীল উপহ্রদ। এ ছবি এবার নাসার একটি উপগ্রহচিত্রেও ধরা পড়েছে।
জ্বালামুখ ফাটার সময় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চারধার। তারপর বেরিয়ে আসে প্রচুর গ্যাস। সালফার ডাই অক্সাইড বেরিয়ে আসতে থাকে জ্বালামুখ দিয়ে। তারপর গলিত লাভা থেকেও একই গ্যাস নির্গত হয়ে বাতাসে মিশতে থাকে।
রিকয়ানেস উপদ্বীপ কিন্তু আইসল্যান্ডের এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। হাড় হিম করা ঠান্ডা আইসল্যান্ডে এই লাভা উদগারের পর রিকয়ানেস উপদ্বীপের চারধারের পারদ চড়েছে।
এই লাভাস্রোত যে কেবল পর্যটকদের পছন্দের নীল জলের ক্ষতি করেছে তাই নয়, তার স্বেচ্ছাচারী গতি গিলে নিয়েছে আশপাশের রাস্তা, বাড়ি। ক্ষতি করেছে বিদ্যুতের লাইনের। ক্ষতি করেছে জল সরবরাহের পাইপের। আর ক্ষতি করেছে পর্যটকদের আনাগোনাকে।