লাল গ্রহে উড়ে বেড়ানো পাখি নিয়ে নাসার তদন্ত শেষ
লাল গ্রহে তার উড়ান বিজ্ঞানীদেরও অবিশ্বাস্য ঠেকেছে। তাকে যে ক্ষমতায় বলীয়ান করে পাঠানো, তার চেয়েও অনেক বেশি সক্ষমতার পরিচয় দেয় সে নিজেই।
রোবোটিক রোভার যান পারসিভিয়ারেন্স লাল গ্রহে পদার্পণ করে পেটে ইনজেনুইটি সঙ্গে করে। লাল গ্রহে পৌঁছে ইনজেনুইটি নামে হেলিকপ্টারটি বেরিয়ে আসে। তাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার ওড়ানোর পরিকল্পনা করেই পাঠানো হয়েছিল মঙ্গলে। নেহাতই একটা পরীক্ষামূলক উড়ান।
পৃথিবীর কোনও যান সেই প্রথম অন্য গ্রহের আকাশে উড়েছিল। কিন্তু তার নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করার পরও ইনজেনুইটির মঙ্গলের আকাশে ওড়ায় কোনও সমস্যা ছিলনা। ফলে বিজ্ঞানীরা হতবাক হলেও ইনজেনুইটিকে ওড়ার সবুজ সংকেত দিতে থাকেন।
আর তখনই দেখা যায় ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের হেলিকপ্টারটি মঙ্গলের আকাশে একবার করে উড়ছে। কিছুটা সময় আকাশে কাটাচ্ছে। তারপর নেমে আসছে। এভাবে লাল গ্রহের আকাশে ৭২ বার ওড়ে ইনজেনুইটি।
নেহাতই পরীক্ষামূলক ভাবে মঙ্গলের আকাশে ৩০ দিনের মধ্যে সর্বাধিক ৫ বার উড়তে সক্ষম ইনজেনুইটি গত ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারে নামে। সে দিব্যি ৭২ বার লাল গ্রহের আকাশে চক্কর দিয়ে ফেলেছে। চমক আরও বাকি রয়েছে।
ইনজেনুইটির মঙ্গলের আকাশে যতটা উপর পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল তার চেয়েও অনেক বেশি উপরে উড়তে সক্ষম হয়। ১২ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠে সেখান থেকে মঙ্গলের নানা ছবি সংগ্রহ করতেও দেখা যায় ইনজেনুইটিকে।
এমনকি যতটা পথ সে একবার উড়ে অতিক্রম করতে পারার কথা, তাও ছাপিয়ে যাওয়া ইনজেনুইটি মঙ্গলে সব মিলিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা উড়েছে। সংগ্রহ করেছে নানা প্রয়োজনীয় তথ্য। ৭২ নম্বর উড়ানের শেষে নিচে নামার সময় কোনওভাবে তার একটি ডানা ভেঙে যায়।
তার ফলে চিরতরে মঙ্গলগ্রহের মাটিতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সে। কীভাবে তার ডানা ভাঙল। এখন সে কেমন আছে সেসব নিয়ে নাসা একটি তদন্ত শুরু করে। নাসার ইঞ্জিনিয়াররা সেই তদন্ত শেষ করেছেন।