মঙ্গলগ্রহের মাটিতে ভেঙে পড়েও বিশেষ খবর পাঠাচ্ছে নাসার ভিনগ্রহী পাখি
শেষ হয়েও সে শেষ হয়নি। লাল গ্রহের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সে। তারপরেও কাজ থামায়নি। এক বিশেষ খবর প্রতি সপ্তাহে পাঠাচ্ছে সে।
মঙ্গলের আকাশে ৩০ দিনে সর্বাধিক ৫ বার উড়তে পারবে সে। নেহাতই পরীক্ষামূলক উড়ান। মঙ্গলের আবহাওয়া পৃথিবীর মত এতটা ভারী নয়। অনেকটাই পাতলা। সেখানে হেলিকপ্টার কি উড়তে পারবে? সেটা দেখাই ছিল বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য।
কিন্তু ২০২১ সালে পারসিভিয়ারেন্সের পেট থেকে বেরিয়ে মঙ্গলের আকাশে সে উড়তে শুরুর পরই বিজ্ঞানীরা টের পেয়ে যান ইনজেনুইটি কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারে। আর হয়ও তাই।
প্রতিবার বিজ্ঞানীদের অবাক করে সে একের পর এক মঙ্গলের আকাশে উড়তে থাকে। তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। যা মঙ্গলের আকাশ থেকে পাওয়াটা অনেক সহজ সেসব তথ্য।
এভাবে মাটিতে নামছে। আবার উড়ছে। বিজ্ঞানীরাও বুঝতে পারছেন না কতবার এমন করে সে উড়তে পারবে। তবে ইনজেনুইটি তার আশাতীত সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে এটা নিশ্চিত হয়ে যান বিজ্ঞানীরা।
এমন করে ৭২ বার মঙ্গলের আকাশে ওড়া। অবশেষে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের নাসার তৈরি এই ভিনগ্রহী হেলিকপ্টার ৭২ তম উড়ানের শেষে নিচে নামার সময় কোনওভাবে তার একটি ডানা ভেঙে যায়।
তার ফলে চিরতরে মঙ্গলগ্রহের মাটিতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সে। তারপর আর তার পক্ষে ওড়া সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে সংযোগও কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়। তবে তা ছিল সাময়িক।
শুয়ে থাকা অবস্থাতেই ইনজেনুইটি ফের পারসিভিয়ারেন্সের সঙ্গে সংযোগ প্রতিষ্ঠা করে ফেলে। সে কাজও থামায়নি। মঙ্গলের মাটিতে শুয়ে শুয়েই ইনজেনুইটি সপ্তাহে ১ দিন করে পারসিভিয়ারেন্সের কাছে মঙ্গলের আবহাওয়া সংক্রান্ত খবর পাঠাতে থাকে।
শেষ হয়েও ইনজেনুইটি শেষ হয়নি। লাল গ্রহের আবহাওয়া সংক্রান্ত এই লাগাতার তথ্য আগামী দিনে মঙ্গলে মানুষ পাঠাতেও কার্যকরি ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।