মঙ্গলে পড়ে থাকা মেশিনে জমছে ধুলো, উৎসাহিত বিজ্ঞানীরা
কোনও কিছু নষ্ট হয়ে গেলে তা এক কোণায় পড়ে থাকে। সেদিকে কেউ ঘুরেও তাকায় না। নাসার বিজ্ঞানীরা নষ্ট হওয়া ল্যান্ডারের ধুলোই বিশেষ কাজে লাগাচ্ছেন।
নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র হেলায় পড়ে থাকে। তার ওপর ধুলো ময়লা পড়তে থাকে। তেমনই হাল হয়েছে নাসার প্রথম রোবোটিক মার্স ল্যান্ডার ইনসাইট-এর। ইনসাইট ২০২২ সালে চার্জ ফুরিয়ে সেই যে লাল গ্রহে এক জায়গায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে আছে, তার আর নড়াচড়া হয়নি। কাজও করেনি।
ইনসাইট যে মঙ্গলের মাটিতে নিথর হয়ে পড়ে আছে তা মঙ্গলগ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে থাকা যান দেখেছে। ছবিও তুলেছে। আর সেই ছবিতেই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ইনসাইট এখন মঙ্গলে পড়ে পড়ে ধুলো খাচ্ছে।
ইনসাইটের যে ২টি সোলার প্যানেল ছিল চার্জ হওয়ার জন্য, সে ২টি এখন ধুলোর পুরু মোড়কে মোড়া। ইনসাইট ধুলোর পরতে গা ঢেকেছে। মঙ্গলে যে হাওয়া বয় তাতে আবার কিছুটা করে ধুলো উড়েও যায়। আবার সেই হাওয়াতেই ধুলো এসে পড়ে।
এভাবেই ইনসাইট মঙ্গলে পড়ে রয়েছে। কিন্তু এই কর্মহীন স্তব্ধ যানও নাসার বিজ্ঞানীদের বিশেষ কাজে লাগছে। ইনসাইট কাজে লাগছে না বলে বরং বলা ভাল তার গায়ে পড়া ধুলোর পরত কাজে লাগছে।
ইনসাইটের গায়ে পড়া ধুলোর পরত, তা কত সময়ে কতটা পড়ছে, হাওয়ায় ভেসে কতটা ধুলো উড়ে যাচ্ছে, আবার কত ধুলো পড়ছে, তা পরীক্ষা করে মঙ্গলে হাওয়ার ধরন, ধুলোর ধরন এবং কীভাবে মঙ্গলে এই প্রক্রিয়া চলে সে বিষয়ে জানতে পারছেন বিজ্ঞানীরা।
তাই তাঁরা মনে করেন শেষ হয়েও ইনসাইট এখনও বড় কাজ করে চলেছে। প্রসঙ্গত লাল গ্রহের মরচে রংয়ের ধুলো মাটির রং এখন ইনসাইটের রং হয়ে গেছে। কারণ ওই ধুলোই এখন ঢেকে দিয়েছে তার আসল চেহারা।