এও তাহলে সম্ভব হল, ইতিহাস লিখে সূর্যকে ছুঁল পার্কার
সূর্য থেকে পার্কারের দূরত্ব মাত্র ৬১ লক্ষ কিলোমিটার। এই ৬১ লক্ষ কিলোমিটার যে কোনও দূরত্ব নয় সকলের জানা। সূর্যকেও যে ছোঁয়া যায় এটা পৃথিবী এই প্রথম দেখল।
২০১৮ সালে সূর্যকে গন্তব্য করে পৃথিবী থেকে উড়ে গিয়েছিল নাসার যান পার্কার। তারপর যতই সে সূর্যের দিকে এগিয়ে গেছে ততই প্রতিকূলতার সামনে পড়তে হয়েছে তাকে। এমনকি একসময় দুরন্ত গতিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে চলা অগুন্তি পাথর আর ধুলোর মধ্যে পড়ে যায় পার্কার।
এটা যে পথে পড়বে তা বিজ্ঞানীদেরও জানা ছিলনা। সে সময় পার্কার বেগ পায় ঠিকই কিন্তু তার পরেও সে ছুটে চলতে সক্ষম হয়। এক সময় সে পৌঁছয় বুধ গ্রহের সবচেয়ে কাছে।
এটাও পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার হয়। বুধকে পার করে পার্কার তার লক্ষ্যে ছুটতে থাকে অবিচলভাবে। তারপর সারা বিশ্ব যখন বড়দিনের আনন্দে মাতোয়ারা হতে তৈরি ঠিক তখনই সে পৌঁছে গেল সূর্যের কাছে। তার অভীষ্ট লক্ষ্যে।
মঙ্গলবার সে সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে গেছে। যাকে কাছে বলাটা একটা গাণিতিক কথা মাত্র। কারণ পৃথিবী থেকে ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে থাকা সূর্য থেকে পার্কারের দূরত্ব মাত্র ৬১ লক্ষ কিলোমিটার। যাকে দূরত্ব বলে ধরা যেতে পারেনা। তার মানে সহজ করে বললে পার্কার সূর্যে পৌঁছে গেছে।
পার্কার সেখান থেকে এমন অনেক তথ্য দেবে যা সূর্যকে নতুন করে চিনতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। সূর্যের গতিবিধি বিবেচনা করে তার দেওয়া তথ্য জানান দেবে পৃথিবীর জন্য সূর্য থেকে কি ধরনের ক্ষতিকর জিনিস ছিটকে আসছে।
এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর অবশ্য একটা সমস্যা হয়েছে। সূর্যে পৌঁছে যাওয়ার পর পার্কারের সঙ্গে যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিজ্ঞানীদের। তবে তা সাময়িক মাত্র। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন পার্কারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার।