মহাকাশে আবর্জনার স্তূপে ধাক্কা খেল সূর্যের দিকে ছুটে চলা মহাকাশযান
মহাকাশে প্রবল সংঘর্ষ হল পার্কার ও মহাকাশ আবর্জনার। আবর্জনার স্তূপ বলাই ভাল। যা ধরা পড়েছে মহাকাশযানটির সঙ্গে জুড়ে থাকা ক্যামেরায়।
সূর্যকে আরও ভাল করে কাছ থেকে জানতে সূর্যের দিকে মহাকাশযান পাঠিয়েছে নাসা। সূর্যের রহস্য ভেদে নাসার পার্কার সোলার প্রোব স্পেসক্রাফট ছুটে চলেছে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে।
২০১৮ সালে সূর্যের দিকে যাত্রা করা পার্কার ইতিমধ্যেই সূর্যকে একটি দূরত্ব থেকে ৩ বার প্রদক্ষিণ করে ফেলেছে। আর সেটা করতে গিয়ে এবার সে পড়ল মহাকাশের আবর্জনার স্তূপের মুখে।
অনেকটা প্যানকেকের মত দেখতে পুরু এই আবর্জনা আসলে বিভিন্ন ধূমকেতু ও উল্কা থেকে আসা গুঁড়ো। যা একটি জায়গায় একত্র হয়ে থাকে।
এগুলি মানুষের একটি চুলের এক চতুর্থাংশ পুরু হয়। সেগুলি এসে আছড়ে পড়ে পার্কারের ওপর। যার ফলে পার্কারে লাগানো ক্যামেরা পর্যন্ত কিছুটা সময় ঝাপসা হয়ে যায়। ৬ হাজার ৭০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে মহাকাশের এই আবর্জনাগুলি আছড়ে পড়ে পার্কারের ওপর।
পার্কারের বহিরাংশে একটা উত্তাপ রয়েছে। সেই উত্তাপেই রক্ষা পায় সেটি। গুঁড়োগুলি গায়ে লাগার পরই সেগুলি বাষ্পে পরিণত হয়। ভেঙে যায় অণু। যার ফলে রক্ষা পায় পার্কার।
তবে তার ক্যামেরায় আঘাত লাগে। এই আবর্জনার স্তূপ থেকে এক সময় বেরিয়ে যায় যানটি। ২০২৫ সাল পর্যন্ত পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের চারধারে ঘুরবে এবং তথ্য সংগ্রহ করবে।
বিজ্ঞানীদের কাছে পার্কারের এই আবর্জনার স্তূপের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়া অভিপ্রেত ছিলনা। এমনটা যে হতে পারে সে ধারনা তাঁদের ছিলনা। ফলে একটি নতুন অভিজ্ঞতা ও তথ্য পেলেন তাঁরা।
এখনও ১১ বার সূর্যকে পাক খাবে পার্কার। এই সময়কালে আরও নানা তথ্য তাঁরা পাবেন বলে মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা