ধুলো ঝাড়তে চাঁদে যাচ্ছে এক নতুন যন্ত্র
এ এক বড় চিন্তা। ধুলো আর ধুলো। সেই ধুলো ঝাড়া জরুরি। এই ধুলো ঝাড়তেই চাঁদে যাচ্ছে এক বিশেষ ধরনের যন্ত্র। যা আগে কখনও যায়নি।
বাড়ি ঘরে ধুলো, রাস্তাঘাটে ধুলো। পৃথিবীর মানুষ ধুলোর সঙ্গে বেজায় পরিচিত। কোথাও বেশি ধুলো তো কোথাও কম। সেই ধুলো ঝাড়ার নানা ব্যবস্থাও রয়েছে পৃথিবীতে। হাত ব্যবহার করে ঝাঁটা থেকে যন্ত্র নির্ভর ধুলো ঝাড়ার ব্যবস্থা।
তাই পৃথিবীতে ধুলো আছে বটে, কিন্তু তা ঝাড়া নিয়ে চিন্তিত নন কেউ। পৃথিবীতে যে ধুলো কোনও বড় সমস্যার কারণ নয়, চাঁদে কিন্তু সেই ধুলোই মহাকাশচারীদের জন্য এক আতঙ্কের নাম হতে পারে।
চাঁদে মানুষ পাঠাতে নাসা প্রায় তৈরি। এই অবস্থায় চাঁদে গিয়ে যাতে মহাকাশচারীরা বড় সমস্যার মুখে না পড়েন সে ব্যবস্থা পাকা করতে চাইছে নাসা।
চাঁদের অন্যতম সমস্যা ধুলো। তাই সেই ধুলো ঝাড়তে এখান থেকে চাঁদে পাঠানো হচ্ছে একটি যন্ত্র। নাম ইলেক্ট্রোডায়নামিক ডাস্ট শিল্ড। এটি চাঁদে পৌঁছে বৈদ্যুতিন শক্তি ব্যবহার করে ধুলো পরিস্কার করবে।
এটি পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষামূলক ভাবে। সেটি চাঁদে পৌঁছে তার কাজ শুরু করবে। এই যন্ত্র কেমন কাজ করছে তা নজরে রাখবেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডারে চাপিয়ে ১০টি জিনিস চাঁদে পাঠানো হচ্ছে। তার একটি হল এই ইলেক্ট্রোডায়নামিক ডাস্ট শিল্ড।
এটি মূলত পাঠানো হচ্ছে যাতে চাঁদে যাওয়া মহাকাশচারী ও মহাকাশযানে ধুলো সাফ করা যায়। মহাকাশচারীরা যে জুতো, স্পেসস্যুট বা হেলমেট পরে থাকবেন, তার ওপর লেপ্টে যাওয়া ধুলোর স্তর দ্রুত সাফ করবে এই যন্ত্র। এছাড়া ইলেক্ট্রোডায়নামিক ডাস্ট শিল্ড মহাকাশযানে থাকা থার্মাল রেডিয়েটার, সোলার প্যানেল বা ক্যামেরা লেন্সের ওপর থাকা ধুলোর স্তরও পরিস্কার করবে।