যত পাথুরে খানাখন্দ অসমতল অবস্থাই হোক, মঙ্গলগ্রহে নিশ্চিন্তে ঘোরার পথ খুলল নাসা
মঙ্গলগ্রহ জুড়ে পাথুরে ভূমি। কোথাও চড়াই তো কোথাও উৎরাই। খানাখন্দ, এবড়োখেবড়ো চারধার। তার ওপর দিয়েই নিশ্চিন্তে ঘোরার ব্যবস্থা করল নাসা।
লাল গ্রহের মাটি পাথুরে, অসমতল। সেখানে মসৃণ পথ তো পাওয়া যাবেনা। কিন্তু আগামী দিনে সেই লাল গ্রহেই আরও যান পাঠানো, আরও রোভার পাঠানো। আর সর্বোপরি সেখানে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে।
এখন যে কটি রোবোটিক রোভার মঙ্গলগ্রহে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছে, লাল গ্রহকে আরও ভাল করে চিনতে সাহায্য করছে, তারা সকলে মিলে মঙ্গলের ১ শতাংশ অংশই কেবল ঘোরার সুযোগ পেয়েছে। তাও এতদিনে।
কিন্তু আগামী দিনে মঙ্গলে আরও বড় ধরনের অভিযানের উদ্যোগ চলছে। সেখানে নানা রোভার তো বটেই, তার সঙ্গে মানুষ পাঠানোর ব্যবস্থা এগোচ্ছে।
মানুষ গেলে বা অন্য রোভার পাঠানো হলে মঙ্গলগ্রহে মানুষ কোনও গাড়ির মত যন্ত্রে চেপে, বা রোভারগুলিই লাল গ্রহের অন্যান্য প্রান্তে ঘুরলে যাতে সমস্যায় না পড়ে, যাতে তারা অনায়াসে ওই অতি প্রতিকূল অসমতল পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য নাসা এবার এক বিশেষ টায়ারের ব্যবস্থা করল।
এই টায়ার তৈরি হচ্ছে শেপ মেমরি অ্যালয় দিয়ে। এটি এমন এক ধরনের সংকর ধাতু যা প্রয়োজনে বেঁকে টেরে যেতে পারবে, আবার পরে নিজের জায়গায় ফিরে আসতে পারবে।
পাথুরে জমির ওপর চলার জন্য একটি শক্তপোক্ত দীর্ঘস্থায়ী টায়ারের দরকার। যা এই শেপ মেমরি অ্যালয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। যা বেঁকে যেতে পারবে, প্রসারিত হতে পারবে, গরম ও ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে।
যতই কোনও জায়গা দিয়ে যাওয়ার সুবিধার জন্য তাকে বেঁকে টেরে যেতে হোক না কেন, আবার স্বাভাবিক ও পুরনো অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে এই টায়ার।
আগামী দিনে এই টায়ারকেই লাল গ্রহে যাতায়াতের কাজে ব্যবহার করতে চাইছে নাসা। নাসার গ্লেন রিসার্চ সেন্টারে এই বিশেষ ধরনের টায়ার তৈরি ও তার পরীক্ষার কাজ হয়ে গেছে।