মহাকাশেও রান্না হয়, জমিয়ে খাওয়াদাওয়াও হয়, কারা করে এই রান্না, কারাই বা খায়
মহাকাশের অনেক গূঢ় তত্ত্ব এখন প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের সামনে আসছে। এমন অনেক কিছু জানা যাচ্ছে যা বিজ্ঞানীদেরও মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছে। তেমনই একটি গভীর মহাকাশে রান্না।
রান্নাবান্না খাওয়াদাওয়া কেবল মানুষই করে বলে মনে করলে ভুল হবে। কারণ মহাশূন্যেও রান্নাবান্না হয়। সেখানেও খাবার তৈরি হয়। আর সে মহাকাশ কাছের মহাকাশ নয়।
এই সৌরমণ্ডল ছাড়িয়ে বহু বহু দূরে থাকা নিঃসীম মহাশূন্যে নানা ঘটনা নিরন্তর ঘটে চলেছে। নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এমন এক কথা জানতে পারল যা মহাকাশ বিজ্ঞানীদেরও মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
অসীম ব্রহ্মাণ্ডে যেমন অগুন্তি গ্রহ, নক্ষত্র ছড়িয়ে আছে, তেমনই রয়েছে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল। চন্দ্র মানমন্দির থেকে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে, সেই কৃষ্ণগহ্বরগুলি নিজেদের খাবার নিজেরাই তৈরি করে নেয়।
নিজেরাই নিজেদের খাবার তৈরি করে। তারপর সেই খাবার খেয়ে নেয়। অবশ্যই তারা নিজেদের জন্য মনুষ্য খাদ্য প্রস্তুত করেনা। করে তাদের প্রয়োজনীয় খাবার। আর তা তৈরি করে গ্যাসের উত্তাপ হ্রাস করে।
সেভেন ক্লাস্টারস অফ গ্যালাক্সিস পরীক্ষা করে চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি জানিয়েছে, কৃষ্ণগহ্বরগুলি তাদের উত্তপ্ত গ্যাসীয় ফিলামেন্টকে ক্রমে ঠান্ডা করে। সেই ঠান্ডা গ্যাসের স্রোত নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্য বরাবর কৃষ্ণগহ্বরের দিকে ছুটতে থাকে।
এতে একধরনের বিস্ফোরণ হয়। তাতে আরও গ্যাস উৎপন্ন হয়। যা কৃষ্ণগহ্বরের খাবার হয়ে তার পেটে ঢুকতে থাকে। আবার সেই স্রোতের জেরে নতুন বিস্ফোরণ হয়। তৈরি হয় কৃষ্ণগহ্বরের জন্য আরও খাবার।
আর এভাবেই চলতে থাকে। আর কৃষ্ণগহ্বর তার খাবার খেতে থাকে। এভাবেই অধিকাংশ ব্ল্যাক হোল তাদের খাবারের বন্দোবস্ত নিজেরাই করে নেয়।