একটা আগ্নেয়গিরির এই ক্ষমতাও হতে পারে, এ ঘটনা আগে দেখেনি সূর্যের পরিবার
একটা আগ্নেয়গিরির ক্ষমতা সম্বন্ধে কমবেশি ধারনা সকলের আছে। কিন্তু এমন আগ্নেয়গিরিও যে সূর্যের পরিবারে রয়েছে তা ভাবতেও পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীতে যত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, তারা সব মিলিয়ে যত শক্তি উৎপাদন করে, তার চেয়েও ৬ গুণ বেশি শক্তি মাত্র একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে তৈরি হচ্ছে।
সৌরমণ্ডলে এটাও যে সম্ভব সেটাই এতদিন ধারনা ছিলনা বিজ্ঞানীদের। সেটা এবার দেখার সুযোগ পেলেন তাঁরা। সূর্যের পরিবার এই সৌরমণ্ডলে যত গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অগ্নুৎপাত হয় বৃহস্পতিগ্রহের উপগ্রহ আইয়ো-তে।
আইয়ো সর্বদাই যেন অগ্নিকুণ্ডের মত জ্বলছে। সেই আগ্নেয়গিরি পূর্ণ আইয়ো-র কাছ দিয়ে উড়ে গিয়েছে বৃহস্পতির খোঁজখবর নিতে সেখানে উড়তে থাকা নাসার মহাকাশ যান জুনো।
সেই জুনোই আইয়ো-র কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় একটি অগ্নুৎপাতের ঘটনা দেখেছে। যে অগ্নুৎপাত এতটাই ভয়ংকর এবং ভাবনার অতীত ছিল যে বিজ্ঞানীরাও তা দেখে হতবাক। যা ওই বিপুল শক্তি তৈরি করে।
যে জায়গা জুড়ে এই অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে সেটা ৮০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের চেয়েও বড়। আইয়ো সৌরমণ্ডলের এমন এক অপার্থিব খণ্ড যেখানে সারাক্ষণই অগ্নুৎপাত হয়ে চলেছে।
প্রায় ৪০০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে বৃহস্পতির এই উপগ্রহে। যারা লাভা উদ্গীরণ করেই চলেছে। আর এই লাভা ছড়িয়ে পড়ছে আইয়ো জুড়ে। এই এত লাভা আসে কোথা থেকে? এটা মনে আসতেই পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কারণ আসলে বৃহস্পতিগ্রহ নিজে। আইয়ো বৃহস্পতির খুব কাছ থেকে তাকে প্রদক্ষিণ করে। এই সময় বৃহস্পতির মাধ্যাকর্ষীয় টান আইয়োর ওপর প্রবল চাপ তৈরি করে।
যা থেকে একধরনের উত্তাপ তৈরি হয় আইয়ো-র কেন্দ্রে। যা নিরন্তর লাভা তৈরি করে চলে। আর সেই লাভাই আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে নিরন্তর বার হতে থাকে এই উপগ্রহে।