সূর্যকে ছুঁয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, করোনায় ঢুকে পার্কার পাঠাচ্ছে অজানা তথ্য
চাঁদ, মঙ্গল এমনকি বৃহস্পতি গ্রহের কাছে যান পাঠালেও সূর্যের কাছে পৌঁছনো হয়নি বিজ্ঞানের। এবার সেটাও হয়ে গেল। অজানা পথ পাড়ি দিয়ে পার্কার পৌঁছে গেল সূর্যের করোনায়।
সূর্যের বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরকে বলা হয় করোনা। সেই সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করল নাসার যান পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যকে দূর থেকে জানার সব চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তা থেকে বেশকিছু তথ্যও তাঁদের হাতে এসেছে।
কিন্তু সূর্যের কাছ পর্যন্ত পৌঁছতে না পারলে তার সম্বন্ধে অতটা বিস্তারিতভাবে জানা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ২০১৮ সালে নাসা সূর্যের দিকে পাঠিয়ে দেয় তাদের বিশেষ যান পার্কার সোলার প্রোবকে। যা সূর্যের দিকে ৬ লক্ষ ৯২ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটতে শুরু করে।
এই গতি পথে যে কি কি পড়বে তার সম্বন্ধে যেমন কিছু ধারনা বিজ্ঞানীদের ছিল, তেমনই আবার অনেক ধারনা ছিলও না। ফলে বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন সেই দিনটার যেদিন ওই যান সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
সেই দিনটা অবশেষে এসেই পড়ল। আদপে তা বেশ কিছুদিন আগেই হয়েছে। তবে নাসা সবদিক থেকে নিশ্চিত হয়ে তা প্রকাশ করেছে হালে।
অতিপ্রবল উত্তাপেও যাতে যানটির কোনও ক্ষতি না হয় তার পুরো বন্দোবস্ত করে পাঠানো হয়েছিল সেটিকে। সেটি অনেক বাধা পার করে পৌঁছয় সূর্যের কাছে। মাঝে এক অজানা আবর্জনার স্তূপে পড়তে হয় পার্কারকে। তাতে তার গায়ে লাগানো ক্যামেরার ক্ষতি হতে পারত।
তবে সব বাধা পার করে এখন সূর্যের করোনায় অর্থাৎ সূর্যের বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরে প্রবেশ করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে পার্কার। সূর্যকে ছোঁয়ার এই মুহুর্তকে এক অবিস্মরণীয় মুহুর্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সূর্যের চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং সেখানে থাকা অন্য কণা খতিয়ে দেখে তার তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে পার্কার। যা সূর্যকে অনেক ভালভাবে জানতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা