SciTech

পৃথিবীর পিছনের মহাজাগতিক বাগানে দেখা দিল বিরল আইনস্টাইন রিং

এ এক বিরল দৃশ্য। যা এবার দেখা গেল পৃথিবীর পিছনের মহাজাগতিক বাগানে। এভাবেই এই তীব্র আলোকে ব্যাখ্যা করছেন বিজ্ঞানীরা। যা আসছে আদপে বহু বহু দূর থেকে।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির শক্তিশালী টেলিস্কোপ ইউক্লিড এবার এমন এক দৃশ্য দেখল যাকে অতি বিরলের তালিকায় ফেলেন বিজ্ঞানীরা। যার সঙ্গে কিংবদন্তি পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের যোগ রয়েছে।

মহাকাশে ৪৪২ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে এমন এক নক্ষত্রপুঞ্জ যা অতীব উজ্জ্বল। যার থেকে বেরিয়ে আসা উজ্জ্বল আলো বহু বহু দূর যাত্রা করে। সেই আলো এসে পড়ে ৫৯ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থানরত এনজিসি ৬৫০৫ নামে আর এক বিশাল নক্ষত্রপুঞ্জের ওপর।


আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব অনুযায়ী মহাকাশে অবস্থানরত কোনও বস্তুর ওপর আলো এসে পড়লে তা বেঁকে যায় এবং আরও উজ্জ্বল হয়ে ওই বস্তুর চারধারে দেখতে পাওয়া যায়। সেটাই ঘটেছে এক্ষেত্রে।

বহু দূরের নক্ষত্রপুঞ্জের আলো অপেক্ষাকৃত কাছের নক্ষত্রপুঞ্জে এসে পড়ার পর সেই নক্ষত্রপুঞ্জের কেন্দ্রে এক অতি উজ্জ্বল আলো ঝলসে ওঠে। যার তীব্রতা অত্যন্ত বেশি।


এনজিসি ৬৫০৫ নামে নক্ষত্রপুঞ্জের কেন্দ্রে সেই উজ্জ্বল আলোর গোলককেই বলা হয় আইনস্টাইন রিং। যেহেতু আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব এটাই বলে, তাই তাঁকে সম্মান জানিয়ে এই রিংয়ের নাম দেওয়া হয়েছে আইনস্টাইন রিং। যা বিরল বটে তবে তার দেখা পেয়েছে ইউক্লিড।

বিজ্ঞানীরাও সেই বিরল দৃশ্য দেখে একাধারে অবাক এবং বিশ্লেষণে মনোনিবেশ করেছেন। প্রসঙ্গত এভাবে বহু দূরের নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে বয়ে আসা আলো কাছের কোনও নক্ষত্রপুঞ্জে এসে ধাক্কা খেয়ে এমন এক উজ্জ্বল আলোর জন্ম দেওয়াকে বিজ্ঞানীরা গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং বলে ব্যাখ্যা করেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button