মঙ্গলগ্রহের সাহায্য নিয়ে বৃহস্পতির দিকে ছুটে যাবে ইউরোপা, অবাক করা কাজে আসবে মঙ্গল
তার গন্তব্য বৃহস্পতিগ্রহ ও বৃহস্পতির উপগ্রহ। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে মঙ্গলগ্রহের সাহায্য নেবে ইউরোপা নামে যান। কি সাহায্য সেটাও আশ্চর্য করতে পারে অনেককে।

বৃহস্পতির দিকে ছুটে যেতে গেলে যাত্রাপথে পার করতে হবে মঙ্গলগ্রহকে। ইউরোপা যাচ্ছে বৃহস্পতিতে। তার লাল গ্রহে কিছু করার নেই। কিন্তু বৃহস্পতির দিকে ছুটে যেতে গেলে তার লাল গ্রহের সাহায্য দরকার। কি সাহায্য তা বেশ চমকপ্রদ।
আগামী ১ মার্চ মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে যাবে ইউরোপা। মঙ্গলের মাটি থেকে মাত্র ৮৮৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে সে। এখন প্রশ্ন হল মহাকাশে সে সোজা ছুটে যেতে পারত বৃহস্পতির দিকে। মাঝে মঙ্গলের এত কাছে যাওয়ার দরকার কি ছিল? কতটা দরকার ছিল তা বুঝিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলের থেকে ৮৮৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করার সময় মঙ্গলগ্রহের মাধ্যাকর্ষণ ইউরোপার ওপর প্রভাব ফেলবে। আর সেই মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগিয়েই নিজেকে ঘুরিয়ে তার গতিপথ বদল করবে ইউরোপা।
কারণ ওই বাঁকটা না নিলে তার পক্ষে বৃহস্পতির দিকে ছুটে যাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে সেই বাঁকটার জন্য তার লাল গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগানো ছাড়া উপায় নেই।
তাই কাছে পৌঁছে মঙ্গলগ্রহের মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে ইউরোপা তার বৃহস্পতি পৌঁছনোর রাস্তা তৈরি করে নেবে। তারপর সেটি ছুটে যাবে বৃহস্পতির দিকে।
সাড়ে ২২ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে ইউরোপা মঙ্গলকে ছেড়ে ছুটে যাবে বৃহস্পতির দিকে। অবশেষে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছবে ইউরোপা। ২০৩০ সালের এপ্রিল মাসে ইউরোপা বৃহস্পতির কক্ষে প্রবেশ করে যাবে।