শুক্রে জীবনের খোঁজে যাওয়া মহাকাশযানে বিশেষ জামা পরাল নাসা
মহাকাশযানটি বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। তবে ওই সংস্থার যানটিকে একটি বিশেষ ধরনের জামা পরাল নাসা। কেন পরাল তাও পরিস্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলগ্রহ নিয়ে জোরকদমে পরীক্ষা চলাকালীনই শুক্রগ্রহ নিয়ে তাঁদের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। শুক্রগ্রহে যে মেঘ ভেসে বেড়ায় তাতে কি লুকিয়ে আছে প্রাণ স্পন্দন? সে খোঁজ নিতে শুরু হয়েছে নানা উদ্যোগ।
প্রচুর আগ্নেয়গিরিতে ভরা শুক্রগ্রহকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বেড়েই চলেছে। মার্কিন একটি বেসরকারি সংস্থা এবার শুক্রগ্রহের মেঘে প্রাণের খোঁজ করতে তৈরি করেছে একটি মহাকাশযান। ছোট্ট মহাকাশযানটি উড়ে যাবে শুক্রগ্রহের মেঘের কাছে।
তারপর সেখানে শুরু করবে তার তথ্য সংগ্রহ। কিন্তু শুক্রগ্রহের কাছে যাব বললেই তো যাওয়া যায়না। মঙ্গলগ্রহ যেমন ধারনার চেয়েও বেশি ঠান্ডা, তেমন শুক্রগ্রহ ধারনার চেয়েও বেশি গরম।
৪ হাজার ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট উষ্ণতা বিরাজ করে শুক্রগ্রহের চৌহদ্দির মধ্যে। ফলে সেখানে কিছু পাঠালেই হল না, তাকে ওই অসহ্য গরম সহ্য করার ক্ষমতা দিয়ে পাঠাতে হবে।
সে কাজটি অবশ্য ওই বেসরকারি সংস্থা করে উঠতে পারেনি। তারা এ বিষয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওপর ভরসা করছে। নাসা ওই যানটিকে শুক্রের প্রবল উত্তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি রক্ষাকবচ পরিয়ে দিয়েছে।
অসহ্য উত্তাপ সহ্য করার মত একটি বর্ম যানটির গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। যাতে যানটি শুক্রের কাছে পৌঁছলেও তার গরম থেকে যানটির কোনও ক্ষতি না হয়। যাতে সে তার কাজ চালিয়ে যেতে পারে।