SciTech

জোনাকির হাত ধরে চাঁদের মাটিতে তৈরি হল নতুন কীর্তি

চাঁদ নিয়ে পৃথিবীর মানুষের উৎসাহ একসময় চাঁদ ছুঁয়ে আরও বেড়ে যায়। সেই চাঁদেই জোনাকির হাত ধরে এবার তৈরি হল নতুন কীর্তি।

চাঁদকে নিয়ে কবি মন যেমন বারবার কল্পনার জাল বুনেছে, তেমনই চাঁদে চরকা কাটা বুড়ি থেকে শিশুর চাঁদ মামা, সবই চাঁদকে ভালবেসেছে। মানুষ দূরের চাঁদের জ্যোৎস্নায় মনকে হারিয়েছে কল্পনার সমুদ্রে।

বিজ্ঞানীরা সে সময় চাঁদকে ঘোর বাস্তবে চেনার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তারই ফলে আজ মানুষের কাছে চাঁদের অনেক কথাই জানা। সেই চাঁদের আরও কথা জানতে এবার চাঁদে পা রাখল ব্লু ঘোস্ট বা নীল ভূত।


ফায়ারফ্লাই এরোস্পেসের ব্লু ঘোস্ট রবিবার পা রাখল চাঁদের বুকে। চাঁদে তার কাজ হবে চাঁদের মাটিতে ফুটো করে নমুনা সংগ্রহের প্রযুক্তি প্রদর্শন ও পরীক্ষা।

দেখাবে নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা। চাঁদের ধুলো প্রশমনের প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা। এমন অনেক কাজ নিয়েই নাসার নানা যন্ত্র নিয়ে ব্লু ঘোস্ট পৌঁছল চাঁদে।


এদিন ব্লু ঘোস্টের সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পা রাখা ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। চাঁদে চূড়ান্ত পদক্ষেপের জন্য যে সর্বশেষ ৯ মিনিট ছিল সে সময় প্রথমে ঠিক যেখানে ব্লু ঘোস্ট নামতে চায় তার ঠিক উপরে নিজের অবস্থান সুনিশ্চিত করে। তারপর শুরু হয় নামার গতি কমানো।

৫ হাজার ৫০০ ফুট প্রতি সেকেন্ড থেকে গতি কমিয়ে ১৩০ ফুট প্রতি সেকেন্ডে নিয়ে আসা হয়। আর শেষ ২ মিনিটে তো ব্লু ঘোস্ট তার যন্ত্রই বন্ধ করে নেয়। একদম শেষে চাঁদে পা দেওয়ার ঠিক আগের মুহুর্তে ব্লু ঘোস্টের নামার গতি ছিল ৩ ফুট প্রতি সেকেন্ড।

আর তাতেই সফল অবতরণ সম্ভব হয়। এবার কাজ করার পালা। ব্লু ঘোস্ট তার কাজ শুরু করছে। চাঁদের বুকে ফের এক নতুন কীর্তি রচনা হল ব্লু ঘোস্টের অবতরণের মধ্যে দিয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button