চাঁদের বুকে নতুন ইতিহাস লিখল নাসা, সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা
যা পৃথিবীতে সম্ভব তা যে চাঁদেও সম্ভব হবে এমন কোনও কথা নেই। কিন্তু চাঁদের বুকে এতদিনের অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল নাসা। সঙ্গী ছিল আইএসএ।

চাঁদে ইতিমধ্যেই অনেক যন্ত্রপাতি পৌঁছে গেছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে চাঁদে একের পর এক মিশন রয়েছে। চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতেরও।
চাঁদে মানুষকে দীর্ঘ সময় কাটাতে হলে দরকার নানা সুবিধার। প্রযুক্তিগত সুবিধা নভশ্চরদের আরও সহজ করে দেবে কাজ। এতদিনে পৃথিবীর জিপিএস ন্যাভিগেশন সিগনাল প্রযুক্তির প্রদর্শন ও তাকে ট্র্যাক করা চাঁদেও সম্ভব হল।
সেক্ষেত্রে ৩ মার্চ ২০২৫ দিনটি নাসা ও ইতালিয়ান স্পেস এজেন্সির কাছে এক ঐতিহাসিক দিন হয়ে রইল। লুনার জিএনএসএস রিসিভার এক্সপেরিমেন্ট সফল হল।
চাঁদেও এই সিগনাল পাওয়া সম্ভব হল। গ্লোবাল ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম থেকে পাঠানো সিগনাল চাঁদের বুকে পাওয়া, যা এতদিন অসম্ভব ছিল, তা সম্ভব হল।
এতে আগামী দিনে চাঁদের বুকে মানুষ নিয়ে নামতে চলা আর্টেমিস বা এমন ধরনের আরও মিশনের ক্ষেত্রে তারা তাদের গতি, সময় এবং তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবে।
তারা এই সিগনালের হাত ধরে এক্ষেত্রে নিজেদের মত করে গতি, সময় এবং তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এই সাফল্য আগামী দিনে শুধু চাঁদ বলেই নয়, মঙ্গলগ্রহের ক্ষেত্রেও কার্যকরি ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। লুনার ন্যাভিগেশনের ক্ষেত্রে এই আবিষ্কারকে এক অন্যতম পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছে নাসা। এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তারা।