SciTech

যন্ত্রপাতি নিয়ে চাঁদের মাটি ছুঁতেই ঘটল বিপত্তি

যন্ত্রপাতি সব গুছিয়ে নিয়ে সে পাড়ি দিয়েছিল চাঁদের দিকে। চাঁদের মাটি ছুঁতেই যে ঘটনা ঘটল আথেনার সঙ্গে তা মোটেও কাঙ্ক্ষিত ছিলনা।

চাঁদকে আরও ভাল করে চিনতে, চাঁদের মাটিতে ফুটো করে সেখানে বরফের খোঁজ করতে, আরও নানা পরীক্ষার প্রয়োজনে যন্ত্র পৌঁছতে এবং আগামী দিনে চাঁদে নভশ্চরদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখতে দফায় দফায় যন্ত্রপাতি পাঠাচ্ছে নাসা। আর তা পাঠানো হচ্ছে আমেরিকার একাধিক বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে।

ওই সংস্থাগুলির তৈরি যান নাসার জিনিসপত্র নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে চাঁদে। এভাবেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ইনটুইটিভ মেশিনস সংস্থার লুনার ল্যান্ডার আথেনা। আথেনা চাঁদে পৌঁছেও যায়। যাত্রাপথে তার কোনও সমস্যা হয়নি।


চাঁদের ঠিক যেখানে নামার কথা ছিল তার থেকে ৪০০ মিটার দূরে পা রাখে ল্যান্ডারটি। এটি এমন জায়গা যা চাঁদের দক্ষিণ মেরু ঘেঁষা। এখান পর্যন্ত এখনও কোনও ল্যান্ডার পৌঁছতে পারেনি। চাঁদের এই অংশটিতে মাটি অবশ্য খুবই এবড়োখেবড়ো।

এখানে চাঁদে পা রাখার পরই আথেনা কিন্তু তার টাল রাখতে পারেনি। হয়তো খুব বেশি এবড়োখেবড়ো জমির জন্যই হতে পারে। তবে আথেনা টাল রাখতে না পেরে উল্টে যায়। আরও বিপত্তি হয় তারপরে।


উল্টে যাওয়া আথেনা যদিও বা কিছু কাজ করতে পারত, তাও সম্ভব হয়নি তার ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায়। সোলার প্যানেল যে সূর্যরশ্মি থেকে রিচার্জ হবে, সেটাও সম্ভব হয়নি। কারণ ২টি।

এক চাঁদের এই অংশে সূর্যরশ্মি অতি তির্যকভাবে পড়ে। দুই, এখানে অতি প্রবল ঠান্ডা। যার ফলে ল্যান্ডার আর নিজেকে চার্জ করতে পারেনি। তবে সংস্থা জানিয়েছে উল্টে গেলেও এই যাত্রাপথে যা আথেনা পেয়েছে সেই তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এই সংস্থারই নাসার আরও যন্ত্রপাতি নিয়ে আরও ২ বার চাঁদে যাওয়ার কথা রয়েছে। একটি ২০২৬ সালে এবং অন্যটি ২০২৭ সালে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button