স্বাগত জানাল ডলফিনরা, পৃথিবীতে হাসিমুখে ফিরলেন সুনিতা উইলিয়ামস
৭ দিনের যাত্রা শেষ হল প্রায় ১০ মাসে। অবশেষে সেই দিনটা এল। পৃথিবীতে ফিরলেন সুনিতা উইলিয়ামস। পৃথিবী ছুঁতেই পেলেন ডলফিনদের অভিবাদন।

অনেক টালবাহানা, অনেক জল্পনায় ইতি টেনে সুনিতা ঘরে ফিরলেন। অবশেষে সেই দিনটা এসে উপস্থিত হল যখন ৯ মাসের বেশি সময় পার করে পৃথিবীর বাতাসে নিঃশ্বাস নিলেন তিনি।
ভারতীয় সময় ভোরের দিকে ফ্লোরিডার কাছে সমুদ্রে আস্তে আস্তে নেমে আসে সুনিতাকে নিয়ে পৃথিবীতে ফেরা স্পেসএক্স-এর ড্রাগন যান ক্যাপসুলটি। জলে আছড়ে পড়ার ঠিক আগেই তার ৪ দিকের ৪টি প্যারাসুট খুলে যায়।
তারপর খুব ধীরে ধীরে জলে নেমে আসে সেটি। ভাসতে থাকে সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে এই পৃথিবীতে ফেরার জন্য সুনিতাদের ১৭ ঘণ্টা যাত্রা করতে হল।
আর ঠিক তখনই দেখা যায় সেই অপরিকল্পিত দৃশ্য। ক্যাপসুলটি ঘিরে ধরে কয়েকটি ডলফিন। তারা সেটি ঘিরে ধরে গোল করে ঘুরতে থাকে। সুনিতাদের ঘরে ফেরার প্রথম অভিবাদনটা মেলে তাদের কাছ থেকেই।
তৈরি ছিল নাসা। দ্রুত ক্যাপসুলটি জাহাজে তুলে নেওয়া হয়। তারপর এক এক করে বার করে আনা হয় মহাকাশচারীদের। সুনিতাকে বার করার সময় তাঁর মুখে ছিল স্নিগ্ধ হাসি। হাত নেড়ে অভিনন্দনও জানান সকলকে।
এবার সুনিতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পালা। তাঁদের মহাকাশে থাকার জন্য যে শারীরিক সমস্যা হতে পারে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে। এদিকে সুনিতাদের দ্রুত ফেরানোর জন্য অভিনন্দন পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৭ দিনের জন্য গত বছরের ৫ জুন বোয়িং স্টারলাইনারে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে পাড়ি দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস। সঙ্গে ছিলেন বাচ উইলমোর সহ ক্রু-৯-এর সদস্যরা।
ওই স্টারলাইনারে চেপেই সুনিতা ও বাচের পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল ৭ দিন পর। কিন্তু তাঁরা স্পেস স্টেশনেই আটকে পড়েন। তারপর বিভিন্ন সময়ে তাঁদের ফেরানোর কথা উঠলেও তা নানা কারণে বাতিল হয়। অবশেষে তাঁরা ফিরলেন। পৃথিবীর বাতাসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিলেন। তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বহু মানুষও অবশেষে স্বস্তি পেলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা