অন্যত্র যাওয়ার পথে মঙ্গল হয়ে যাচ্ছে মহাকাশযানেরা, পিছনে রয়েছে চমকপ্রদ কারণ
মঙ্গলে তার কোনও কাজ নেই। মঙ্গলের জন্য তাকে পাঠানোও হয়নি। কিন্তু যাওয়ার পথে মঙ্গল হয়ে যাচ্ছে মহাকাশযানেরা। কারণ জানলে অবাক হতে হয়।

লাল গ্রহ নিয়ে গবেষণা গতিতে ছুটছে। নিত্যনতুন মঙ্গল নিয়ে নতুন নতুন তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে পৌঁছচ্ছে। তবে কেবল মঙ্গলেই তো থেমে নেই তাঁরা। অন্য গ্রহ থেকে উপগ্রহ, গ্রহাণু সর্বত্রই যান পাঠাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
এভাবেই বৃহস্পতিগ্রহ এবং তার উপগ্রহদের আরও ভাল করে জানতে ছুটে যাচ্ছে ইউরোপা ক্লিপার। নাসার পাঠানো এই যান যাওয়ার পথে গত ১ মার্চ লাল গ্রহের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তাকে মঙ্গলের কাছে আনেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গল থেকে তার দূরত্ব ছিল মাত্র ৮৮৪ কিলোমিটার। বোঝাই যাচ্ছে মঙ্গলের গা ঘেঁষে উড়ে গেছে সেটি। একইভাবে গত ১২ মার্চ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির হেরা মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহ থেকে মাত্র ৫ হাজার কিলোমিটার এবং মঙ্গলের উপগ্রহ ডিমোস থেকে ৩ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে গেছে তার গন্তব্যের দিকে।
ডিডাইমস গ্রহাণুকে চিনতে ছুটে যাচ্ছে হেরা। মঙ্গলে তার কিছু করার নেই। তবু মঙ্গলের কাছ দিয়ে উড়ে গেল সেটি। কিন্তু কেন? কেন মহাকাশযানগুলি মঙ্গলে কাজ না থাকলেও তার খুব কাছে পৌঁছে যায় গন্তব্যের দিকে ছুটে যাওয়ার পথে? এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ওই যানগুলিকে তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মঙ্গলকে কাজে লাগান। মঙ্গলের সূর্যের চারপাশে ঘোরার জন্য প্রয়োজনীয় গতিবেগ লাগে। মঙ্গলের সেই গতিবেগকে এই মহাকাশযানগুলিকে আরও গতিময় করে তোলার অনুঘটক হিসাবে কাজে লাগানো হয়।
মঙ্গলের ওই গতিবেগকে কাজে লাগিয়ে ওই মহাকাশযানগুলিকে আরও জোরে ধাক্কা দেওয়া হয় দ্রুত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এজন্যই মূলত বিভিন্ন যানকে মঙ্গলে কাজ না থাকলেও তার কাছ দিয়ে উড়িয়ে নিয়ে যান বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বিষয়টি পরিস্কার করেছে।