এই প্রথম চাঁদের মাটিতে জন্ম নিল গাছ, হল ছোট ছোট পাতা
চাঁদের মাটিতে যে গাছ জন্মাতে পারে তা কল্পনাও কেউ করতে পারেননি। কিন্তু সেটাই বাস্তবে করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা। যা দেখে তাঁরাও অনেকে অবাক হয়েছেন।
১৯৬৯ এবং ১৯৭২ সালে চাঁদে যান পাঠায় নাসা। তখন চাঁদের উপরের স্তরের মাটিও সংগ্রহ করা হয়। তা করা হয়েছিল মূলত গবেষণার জন্য। সেই মাটি সংরক্ষিত রয়েছে আজও।
পৃথিবীর মাটিতে যে গাছ গজাতে পারে তা তো সকলের জানা। কিন্তু চাঁদের উপরি স্তরের মাটিতেও যে গাছ জন্ম নিতে পারে তা এতদিন জানা ছিলনা। এবার তা জানা গেল।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলকভাবেই আঙুলের আকারের ছোট ছোট কয়েকটি পাত্রে চাঁদের উপরিভাগের সংগ্রহ করা মাটি দেন। তারপর তাতে পুঁতে দেন ছোট ফুল গাছের বীজ। যা থেকে অঙ্কুর হতে দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান তাঁরা। চাঁদের মাটিতেও যে গাছ হতে পারে তা এই প্রথম জানতে পারল মানুষ।
গাছগুলি অবশ্য সঠিকভাবে বাড়েনি। পাতাগুলো খুব ছোট ছোট হয়েছে। লালচে কালো রং হয়েছে গাছগুলোর। যেভাবে পৃথিবীর মাটিতে গাছগুলি বড় হওয়ার কথা, চাঁদের মাটিতে তেমনটা হয়নি। তবে সেটা এখন বিজ্ঞানীদের কাছে বড় কথা নয়। এটা তাঁরা জেনেই অবাক হচ্ছেন যে চাঁদের মাটিতেও গাছ জন্মানো সম্ভব!
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার জন্য গাছের পাতাগুলি তুলে নেন। সেই পাতা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা হবে। তাহলে চাঁদের মাটিতে গজানো গাছের পাতার গুণাগুণ পৃথিবীতে বড় হওয়া ওই গাছেরই পাতার সঙ্গে মিলছে কিনা তা পরিস্কার হয়ে যাবে। তবে এটা তো স্পষ্ট হল যে চাঁদের মাটিতেও ফসল ফলানো সম্ভব। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা