মঙ্গলের মাটিতে বিশেষ কারণে ইংরাজি হরফ লেখা শুরু করল নাসা
মঙ্গলের মাটিতে এবার লেখাও শুরু করে দিল নাসা। ইংরাজি হরফ লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইংরাজি এল অক্ষর লেখাও হয়েছে নাসার পাথরে।
লাল গ্রহে এবার এ, বি, সি, ডি লেখা শুরু করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স ঘুরে বেড়াচ্ছে মঙ্গলের বুকে। এখন সে ঘুরছে ৪৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জেজেরো ক্রেটারের মাটিতে। সেখানে এখন তার কাজ পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা। যা পরবর্তীকালে পৃথিবীতে আনা হবে পরীক্ষার জন্য।
মঙ্গলের জলবায়ু, মাটি, প্রাণের অস্তিত্ব সবই এই পাথরের নমুনা পরীক্ষা করে জানতে পারা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গল থেকে এই পাথরের নমুনাগুলি ২০৩১ সালের মধ্যে পৃথিবীতে এসে পৌঁছে যাবে বলেই পরিকল্পনা করেছে নাসা। এজন্য এখন বিভিন্ন বিশেষ বিশেষ স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে পারসিভিয়ারেন্স।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই নমুনা সংগ্রহ তো ঠিক আছে, কিন্তু কোথা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হল, অর্থাৎ কোন পাথরের নমুনা সংগ্রহ করল পারসিভিয়ারেন্স তা স্পষ্ট করে আগামী দিনে জানা প্রয়োজন।
এমন কিছু করতে হবে যাতে আগামী দিনে মঙ্গলের সেই পাথরকে দেখলে বোঝা যায় যে সেই পাথরের নমুনা পারসিভিয়ারেন্স সংগ্রহ করেছিল কিনা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তাই পাথরে চিহ্ন দেওয়া জরুরি। সেখানে তো মার্কার পেন নেই। তাই একমাত্র রাস্তা লেজার চিহ্ন।
পারসিভিয়ারেন্সের মাথার কাছে রয়েছে একটি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার সামনে রয়েছে একটি লেজার মেশিন। সেই মেশিন কাজে লাগিয়ে মঙ্গলের যে পাথর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তার ওপর লেখা হচ্ছে ইংরাজি অক্ষর।
ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে এল অক্ষরটি লেখা হয়েছে একটি পাথরের ওপর। তবে পুরো এল নয়, ৩টি বিন্দু আঁকা হয়েছে লেজার দিয়ে। সেই ৩টি বিন্দুকে সরলরেখায় যোগ করলে এল অক্ষর হবে।
এভাবেই আগামী দিনে একটি একটি করে পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং তার ওপর ইংরাজি হরফ লিখে দেওয়া হবে। তবে এল অক্ষরটি ইতিহাস হয়ে গেল। কারণ মঙ্গলের ওপর প্রথম হরফ আঁকা হল এল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা