মঙ্গলগ্রহে জল এবং প্রাণের অস্তিত্ব জোড়াল করল নতুন পাওয়া সবুজ পাথর
নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স ঘুরে বেড়াচ্ছে মঙ্গলগ্রহের বুকে। এখন সে ঘুরছে ৪৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা জেজেরো ক্রেটারের মাটিতে। সেখানেই মিলল নতুন পাথর।
মঙ্গলে কি জল ছিল? জল থাকলে তো প্রাণও ছিল! এমন ধারনা ক্রমশ জোড়াল হচ্ছে। আর তা জোড়াল হচ্ছে মঙ্গলের মাটি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে। যদিও মঙ্গলের পাথর ও মাটির নমুনা পৃথিবীতে আসতে এখনও দেরি আছে।
তবে তার আগেই নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স জেজেরো ক্রেটারে ঘুরতে ঘুরতে যে নমুনা সংগ্রহ করে চলেছে তার অনেকগুলি এক এক করে মঙ্গলের নানা অজানা তথ্য সামনে আনছে।
যেমন এবার পারসিভিয়ারেন্স এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে সবজে রংয়ের পাথরের দেখা মিলেছে। এই ধরনের রং তখনই পাথরের ওপর দেখা যাবে যখন তা দীর্ঘ সময় জলের সংস্পর্শে থাকবে।
বিজ্ঞানীরা তাই অনেকটা নিশ্চিত যে জেজেরো ক্রেটারে একটা সময় একটি বিশাল হ্রদ ছিল। সেই জলের সংস্পর্শে এসেই পাথরে সবুজ রং ধরে। যা এখন পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ছে।
বিজ্ঞানীরা এও মনে করছেন যখন জল ছিল তখন মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণও শক্তিশালী ছিল। আর জলের অস্তিত্ব সব সময় প্রাণের অস্তিত্বেরও জানান দেয়। ফলে তখন প্রাণও ছিল মঙ্গলে।
এবার যে রোবট ওই পাথরের নমুনা সংগ্রহ করেছে সেই রোবট পৃথিবীতে ফিরলে পাথর পরীক্ষার পর আরও বহু তথ্য সামনে এসে পড়বে। কারণ এখন যে সবজে পাথর মিলল তা আদপে সেই আগ্নেয়শিলা যা জলের তলায় দীর্ঘকাল থেকে থেকে তার চরিত্র বদলে এখন ওই রকম সবুজ রংয়ের হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা