এবার শব্দের চেয়েও দ্রুত ছুটবে মানুষ, বন্দোবস্ত পাকা
শব্দের চেয়ে বেশি গতি তো এখনও দেখা যায়। তবে তা বিশেষ কিছু বিমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যা মানুষই ওড়ায়। কিন্তু তা সাধারণের আয়ত্তের বাইরে।
কফি শপে কাউকে একটু অপেক্ষা করতে বলেও অনেকে শহরের মধ্যেই কোনও যান ধরে সেখানে পৌঁছে যেতে পারেন। কিন্তু একদম অন্য রাজ্যের অন্য শহরে বসে কি আর এক শহরে কাউকে কফি শপে অপেক্ষা করতে বলা সম্ভব! সম্ভব নয়। কারণ অত কম সময়ে সেখানে পৌঁছনো অসম্ভব!
এবার কিন্তু সেটাও সম্ভব হতে চলেছে। হয়তো দিল্লিতে বসে কেউ মুম্বইতে কাউকে কোনও কফি শপে অপেক্ষা করতে বলে রওনা দিতে পারেন। আর পৌঁছেও যেতে পারেন অল্প সময়ে।
অবাক করা মনে হলেও এটাই সত্যি হতে চলেছে। কারণ এবার মানুষ উড়বে শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে। ফলে দিল্লি থেকে বিমানে মুম্বই পৌঁছনো এখন সামান্য সময়ের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। সেই রাস্তা খুলে দিল নাসা। কবে থেকে মিলবে এই সুযোগ তাও জানিয়ে দিয়েছে তারা।
সুপারসনিক বা শব্দের চেয়েও বেশি গতিশীল বিশেষ কিছু বিমান উড়তে দেখা গেছে। ভারতের ভাণ্ডারেও রয়েছে এমন অনেক বিমান। কিন্তু তা চোখের দেখা দেখা গেলেও তাতে ওঠার অধিকার আম জনতার নেই।
এবার নাসা তাদের উদ্ভাবনী যে দল রয়েছে তাদের গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে ফেলেছে শব্দের চেয়েও গতিশীল যাত্রীবাহী বিমান। নাম দিয়েছে এক্স-৫৯, যা শব্দের চেয়েও দ্রুত ছুটে এক স্থান থেকে যাত্রীদের অন্য স্থানে পৌঁছে দেবে নিমেষে।
নাসা ইতিমধ্যেই এর ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক সফর সেরে ফেলেছে। নাসা মনে করছে ২০২৩ সাল থেকেই এই শব্দের চেয়েও গতিশীল যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ফলে অপেক্ষা আর সামান্য সময়ের।
সবচেয়ে বড় কথা যা নিয়ে শব্দের চেয়েও গতিশীল বিমান নিয়ে চিন্তা থাকে তা হল তার তীব্র কান ঝালাপালা করা শব্দ। এক্ষেত্রে মাটির ওপর দিয়ে কিন্তু সেই শব্দ উৎপন্ন না করেই উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা ধরে এই এক্স-৫৯। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা