হারিয়ে গিয়েছিল মহাকাশে, ৩৬ বছর পর সেটাই পাওয়া গেল সমুদ্রের তলায়
মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে তার হদিশ পাওয়া গেল। তবে মহাকাশে নয়, সমুদ্রের তলায়।
উদ্দেশ্য ছিল এক আর মিলল আর এক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভেঙে পড়া একটি বিমান খোঁজার উদ্দেশ্য নিয়েই সমুদ্রের তলায় নেমেছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতারা। কিন্তু সেখানে নামার পর তাঁরা বিমানটির খোঁজ না পেলেও পেলেন অন্য এক খোঁজ। যা ৩৬ বছরেও না পাওয়া এক ইতিহাসকে খুঁজে দিল।
১৯৮৬ সালে নাসার একটি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন ৭ জন। যার মধ্যে কয়েকজন স্কুল শিক্ষিকাও ছিলেন। ৫ জন পুরুষ ও ২ নারী, এই ৭ জনের দুঃসাহসী দল রকেটে চাপার পর সেই রকেট পাড়ি দেয় মহাকাশের পানে।
কিন্তু ওড়ার পর একটি উচ্চতায় পৌঁছে সেটি ভেঙে যায়। সেখানে কতটা ঠান্ডা থাকতে পারে তা ঠাওর করতে না পারায় এই ঘটনা ঘটে।
যে জ্বালানি রকেটকে তীব্র গতিতে পৌঁছে দিচ্ছিল মহাকাশের যথাযথ স্থানে সেখানেই অতিরিক্ত ঠান্ডার জন্য দুর্ঘটনা ঘটে। আকাশেই মৃত্যু হয় ৭ জনের। রকেটটি ধ্বংস হয়ে যায়।
এরপর ওই রকেটের ধ্বংসাবশেষের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এভাবে মহাকাশযান ভেঙে যাওয়া নাসার জন্যও খুব বড় একটা ধাক্কা ছিল।
গত ৩৬ বছরে তার ধ্বংসাবশেষ না পাওয়াটাও নাসা মেনে নিতে পারছিলনা। অবশেষে এই তথ্যচিত্র নির্মাতারা আমেরিকার ফ্লোরিডা স্পেস সেন্টারের কাছেই জলের তলায় কাজ করতে করতে বালিতে কিছুটা ঢাকা পড়া ধাতব জিনিস দেখতে পান।
তাঁরা বুঝতে পারেন সেটি কোনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ নয়। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা নাসার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নাসার বিজ্ঞানীরা সেটি পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন ১৯৮৬ সালের সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত চ্যালেঞ্জারের ধ্বংসাবশেষ সেটি। যা ৩৬ বছরে খুঁজে পাওয়া যায়নি, অবশেষে তার খোঁজ মিলল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা