দিন ফুরিয়ে এসেছে, মঙ্গলগ্রহ থেকে এটাই আমার শেষ ছবি
নাসার যান তার শেষ ছবিটি পাঠাল। সঙ্গে এক আবেগঘন পোস্ট। এটাই তার পাঠানো শেষ ছবি বলে জানায় সে। এটাও জানায় মঙ্গলে আসার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাস। নাসার পাঠানো যান ইনসাইট ল্যান্ডার পা রাখে মঙ্গলের মাটিতে। তারপর শুরু করে তার কাজ। লাল গ্রহের মাটির তলার ভাগ পরীক্ষা করা, মঙ্গলে তরলের অবস্থান, মঙ্গলগ্রহের মাধ্যাকর্ষণ, সেখানকার আবহাওয়া এবং মঙ্গলে ভূমিকম্প সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা ছিল ছিল তার কাজ। যা ইনসাইট অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গেই করেছে।
নাসার ৩০ জনের দল সর্বক্ষণ সংযোগ রেখেছে ইনসাইটের সঙ্গে। ইনসাইট তথ্য পেলেই পাঠিয়েছে। আর এভাবেই চলেছে গত কয়েক বছর।
এবার সেই ইনসাইটের আয়ু ফুরিয়ে এসেছে। কারণ সে আর তার পরিচালন শক্তি সূর্য থেকে সংগ্রহ করতে পারছেনা। তারও কারণ রয়েছে।
মঙ্গলগ্রহে প্রায়ই ধুয়ো ঝড় হয়। সেই ধুয়ো উড়ে এসে এতদিন ধরে পড়েছে ইনসাইটের সোলার প্যানেলে। পড়তে পড়তে সেই ধুলোর স্তর পুরু হয়ে গেছে।
ফলে ইনসাইট আর তার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের আলো পাচ্ছেনা। ফলে প্যানেল শক্তি উৎপাদন করতে পারছেনা। যা ইনসাইটকে ক্রমশ অকেজো করে তুলেছে।
ইনসাইট এবার জানিয়ে দিয়েছে সে শেষ ছবি পাঠাচ্ছে মঙ্গলগ্রহ থেকে। এরপর আর তার পক্ষে কোনও ছবি পাঠানো সম্ভব নয়। তবে সে মঙ্গলগ্রহেই থেকে যাবে। যদি সম্ভব হয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগও করবে। তবে সে যে কাজের জন্য লাল গ্রহে পা রেখেছিল তা সম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রসঙ্গত নাসার ওই যানের হয়ে এই ট্যুইট করেছে নাসার ইনসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বিশেষ ৩০ জন বিজ্ঞানীদের দল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা