মহাকাশে লুকোচুরি খেলা কৃষ্ণগহ্বরদের খুঁজে খুঁজে বার করল চন্দ্র
মহাকাশে কত কিছুই তো অজানা রয়ে গেছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তা খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তেমনই কয়েকটি কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ দিল নাসার চন্দ্র।
মহাবিশ্ব সর্বদাই এক কুহেলিকা। কত কিছুই তো সেখানে অজানা। কত কিছু রহস্যে মোড়া। এখন অবশ্য মহাকাশ বিজ্ঞানীরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ব্যবহার করছেন।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণে অতি শক্তিশালী সব পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। তেমনই এক এক্স-রে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে নাসার। নাসার সেই এক্স-রে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র চন্দ্র অবজারভেটরি নামে পরিচিত।
সেই চন্দ্র অবজারভেটরি গত ১৫ বছর ধরে নিরন্তর মহাকাশে নজরদারি চালাচ্ছে। বহু তথ্যও সংগ্রহ করেছে। সেই ১৫ বছর ধরে পাওয়া তার সব তথ্য নিয়ে একদল বিজ্ঞানী বসেছিলেন বিশ্লেষণে।
সেই বিশ্লেষণের পর বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী খোঁজ পেয়েছেন। তাঁরা মহাবিশ্বের কয়েক শো কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়েছেন। যা বহুকাল ধরে লুকিয়ে রয়েছে মহাকাশে।
সেসব কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পাওয়ার পর এখন কৃষ্ণগহ্বরের সংখ্যা গোনা আরও কিছুটা সহজ হয়ে গেল মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে। এতে মহাবিশ্বের কৃষ্ণগহ্বরের সংখ্যা লাফ দিয়ে বেড়ে গেল।
যেগুলি পরীক্ষা করে আরও নতুন তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে আসতে চলেছে। এতে আগামী দিনে মহাবিশ্ব সম্বন্ধে আরও তথ্য ও জ্ঞানার্জন সহজ হবে।
এই নতুন করে খোঁজ পাওয়া কৃষ্ণগহ্বরগুলি অনেকগুলিই অতি বিশাল। যা এক্স-রে-তে আরও বেশি ঝলমল করে। এমনও কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল রয়েছে যা অতি দ্রুত বড় হচ্ছে।
এভাবে আচমকা কয়েকশো নতুন কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা বেজায় খুশি। কারণ আগামী দিনে তাঁদের কৃষ্ণগহ্বর সম্বন্ধে গবেষণায় এগুলি নতুন অনেক তথ্য প্রদান করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা