২০২২ সালের খতিয়ান আগামী দিনের অশনি সংকেত, সতর্ক করল নাসা
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ২০২২ সালের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্ববাসীকে আগাম সতর্কতা দিল। নাসার এই সতর্কবার্তা কিন্তু অশনিসংকেতই বয়ে আনল।
২০২২ সাল শেষ হয়েছে। এখন ২০২৩ সাল। ২০২২ সালের কিছু খতিয়ান কিন্তু চিন্তার ভাঁজটা পুরু করে দিয়ে গেল। নাসা যে খতিয়ান সামনে এনেছে তা ভয় পাওয়ার মতই বটে।
নাসা জানাচ্ছে ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে যে গরম পড়েছে তা সর্বকালের ৫টি সবচেয়ে গরম বছরের ১টি। এই উষ্ণায়ন কিন্তু বিশ্ববাসীর জন্য অবশ্যই অশনিসংকেত।
নাসা জানাচ্ছে ২০২২ সালে বিশ্বের গড় পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় ১.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেড়েছে। যা কিন্তু বিশ্ববাসী তো বটেই, বিশ্ব জীবজগতের জন্যও ভয়ংকর।
নাসা আরও বিস্তারিতভাবে বোঝাতে গিয়ে জানিয়েছে, এখন যে সামুদ্রিক ঝড় ওঠে তা ভয়াল চেহারা নিচ্ছে, খরা হলে তা চারধার শুকিয়ে ছারখার করে দিচ্ছে, দাবানল বনাঞ্চলগুলিকে পুড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছে, আবার সমুদ্রের জলস্তরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর কারণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম বরফের পুরু চাদরকেও গলিয়ে দিচ্ছে। যা অতিরিক্ত জল তৈরি করছে। যা মিশছে সমুদ্রের সঙ্গে। ফলে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নাসা জানাচ্ছে ১৮৮০ সাল থেকে বাৎসরিক একটা উষ্ণতার রেকর্ড রাখা হয়। সেই রেকর্ড বলছে শতবর্ষে নয়, শেষ ৯ বছরে সবচেয়ে গরম বছরগুলো কাটিয়েছে বিশ্ব। যা কিন্তু বেড়েই চলেছে। প্রবণতাটাই বাড়ার দিকে। আর সেটাই সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।
নাসার রেকর্ড বলছে ২০২২ সালে আরও একটি বিষয় শিখর ছুঁয়েছে। সারা বছরে কার্বন ডাই অক্সাইড-এর বাতাসে মেশাটাও সবচেয়ে বেশি হয়েছে ২০২২ সালে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা