ভরসা করছে নাসাও, রহস্যের কিনারা করতে টাইটানই তুরুপের তাস
টাইটানে ভরসা করতে চাইছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। যে রহস্যভেদে তাঁরা নেমেছেন তাতে তাঁদের হাতের তুরুপের তাসের নাম এখন টাইটান।
নাসার বিজ্ঞানীরা এখন টাইটানকেই পাখির চোখ করেছেন। টাইটানেই ভরসা রাখছেন তাঁরা। সেভাবেই টাইটানকে ব্যবহারও করতে চাইছেন। সেজন্য প্রস্তুতিও তুঙ্গে।
হতে পারে ২০২৭ সালে তাঁরা পদক্ষেপটা নেবেন। তবে তার আগে কঠিন এক প্রস্তুতি রয়েছে। সেই লড়াই শুরু হয়ে গেছে। কারণ টাইটানের হাত ধরেই বিজ্ঞানীরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রাণ রহস্যের কিনারা করতে চান।
কীভাবে প্রাণ এল এই মহাবিশ্বে, সেটাই জানতে এবার টাইটানকে বেছে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু টাইটানকে ছোঁয়া তো সহজ কথা নয়। নাসা স্থির করেছে ২০২৭ সালে তারা টাইটানে পা দিতে যান পাঠাবে।
যা একটি বিশেষ ধরনের যন্ত্রকে সঙ্গে করে পাড়ি দেবে টাইটানের দিকে। ড্রাগনফ্লাই মাস স্পেকটোমিটার নামে ওই যন্ত্র টাইটানে পোঁছে তার কাজ শুরু করে দেবে।
তবে সেটাও ২০৩৪ সালের আগে নয়। কারণ পৃথিবী থেকে টাইটানের দিকে পাড়ি দেওয়া যান টাইটানে পৌঁছবেই ২০৩৪ সালে। তারপর কাজ শুরু।
সৌরমণ্ডলের শনিগ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহটির নাম টাইটান। সেখানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বন। আগে জল থাকার প্রমাণ টাইটানের জমিকে এমন এক রসায়নের রূপ দিয়েছে যা পরীক্ষা করলে প্রিবায়োটিক কেমিক্যালের উপস্থিতি সম্বন্ধে জানা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যা আখেরে মহাবিশ্বে প্রাণের উৎস রহস্যের কিনারা করতে পারে।
যে ড্রাগনফ্লাই নামে যন্ত্রটি টাইটানে যাবে তা টাইটানের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে। তারপর সেখানে ড্রিল মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়বে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে।
তারপর তা পরীক্ষা করবে মূল যান। আপাতত এই পুরো প্রক্রিয়া যাতে নির্ভুল হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতেই ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা