চাঁদের পাহাড়ে পা দিতে না পারলেও লাল গ্রহের মাটিতে পা দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেলেন ভারতীয়রা। শুধুমাত্র ভারতীয় বলা ভুল, গোটা পৃথিবীবাসীর সামনে মঙ্গল অভিযানের পথ খুলে দিল নাসার ইনসাইট মিশন। ২০১৮ সালের ৫ মে দিনটিকে যাত্রার জন্য শুভদিন হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা। শুরু হয়েছে অনলাইন টিকিট বুকিং। এরমধ্যে জমা পড়েছে ২৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৮০৭ জনের আবেদন। কিন্তু প্রথম ধাপে তো এত লোককে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আপাতত হাতে গোনা সৌভাগ্যবানরাই মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এখন অনলাইন বুকিং পদ্ধতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলে যাওয়ার জন্য একধরণের বিশেষ বোর্ডিং পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পাসটি আসলে একধরণের সিলিকন ওয়েফার মাইক্রো চিপ। এই চিপটির মধ্যে ইলেকট্রন বিমের সাহায্যে যাত্রীদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য স্টোর করা হবে। মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার আগে মহাকাশযানের একদম সামনে চিপটিকে জুড়ে দেওয়া হবে।
নাসা সাধারণ মানুষকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করার পর মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়। আবেদন জমা পড়ার পর দেখা যায়, টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে আছে চিন। আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ভারত। ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৯৯ জন ভারতবাসীর আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে নাসা। আমেরিকা থেকে ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭৭৩ জন এবং চিন থেকে ২ লক্ষ ৬২ হাজার ৭৫২ জন আবেদন জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে অন্য গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের কথা বলেন। এখন সেই ভয় থেকে মানুষ মঙ্গলে পাড়ি দিতে চাইছে না নিছক অভিযানের নেশা, সেটা এই মুহুর্তে পরিস্কার নয়। তবে কারণ যাই হোক, পকেটে যদি ভালোমতো রেস্ত থাকে, পরেরবার মঙ্গলে মঙ্গল-যাত্রার চেষ্টা করতে বাধা কোথায়!