মঙ্গলগ্রহে এবার এক খরস্রোতা প্রাচীন নদীর দেখা পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলগ্রহে জলের অস্তিত্ব নিয়ে কম গবেষণা হয়নি। এবার সেই লাল গ্রহের বুকে বয়ে যাওয়া এক খরস্রোতা নদীর খোঁজ পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
নাসা-র পারসিভিয়ারেন্স মার্স রোভার লাল গ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর নানা স্থানের ফটো তুলে পাঠাচ্ছে। যে ফটো পরীক্ষা করে নাসার গবেষকেরা নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছেন। চিনতে পারছেন মঙ্গলগ্রহকে।
সেই পারসিভিয়ারেন্স এবার এমন এক ছবি পাঠিয়েছে যা বিজ্ঞানীদের শুধু নতুন তথ্যই দেয়নি, মঙ্গলগ্রহের জল সম্বন্ধে ধারনাও অনেকটা বদলে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মঙ্গলের বুকে এমন এক প্রাচীন নদীর তাঁরা খোঁজ পেয়েছেন যা যখন বইত তখন তার স্রোত ছিল মারাত্মক। প্রবল স্রোতে বয়ে যেত নদীটি।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন নদীটি শুধু খরস্রোতাই ছিলনা, ছিল অত্যন্ত গভীরও। এমন নদীর খোঁজ এই প্রথম পেলেন বিজ্ঞানীরা। সেদিক থেকে মঙ্গলগ্রহ সম্বন্ধে জ্ঞান আরও অনেকটা বাড়ল এই আবিষ্কারে।
বিজ্ঞানীরা এটাও জানিয়েছেন যে নদীটি এঁকে বেঁকে ছুটে চলত। যে পলি তাঁরা দেখতে পেয়েছেন তা প্রমাণ করে নদীটি এতটাই খরস্রোতা ছিল যে বড় বড় পাথরকেও সে ভাসিয়ে নিয়ে যেত। যে পলি পড়েছে সেগুলির উচ্চতাও বেশ চোখে পড়ার মতন।
জেজেরো ক্রেটারে এই নদীর দেখা পাওয়া মঙ্গলে নদীর রূপ সম্বন্ধে অনেকটাই ধারনা দিল। এর আগে এটা বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছিলেন যে পৃথিবীর চেয়ে মঙ্গলের নদীগুলি চওড়ায় অনেক বড় হত। কিন্তু সেখানে যে এমন খরস্রোতা প্রবল গতিতে বয়ে চলা নদীও ছিল তা এই প্রথম জানতে পারলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা