চাঁদে পৌঁছনো এবার আরও সহজ, চাঁদের পথে জিপিএস বসাচ্ছে নাসা
চাঁদে পৌঁছবেন কীভাবে? পথ দেখানোর জন্য পৃথিবী থেকে নিয়ন্ত্রণের দরকার পড়বে না। পথ প্রদর্শকের নতুন বন্দোবস্তের পথে হাঁটতে শুরু করল নাসা।
চাঁদকে চিনতে নাসার উদ্যোগ বিশ্বকে পৃথিবীর এই উপগ্রহটিকে চিনতে অনেক সাহায্য করেছে। এবার চাঁদে একটি মাইক্রোওয়েভের মত যন্ত্র পাঠিয়েছে নাসা। যাকে কিউবস্যাট বলছেন বিজ্ঞানীরা।
সেটি চাঁদের খুব কাছে পৌঁছে ছবিও পাঠাতে শুরু করেছে। চাঁদের উত্তর মেরুর ছবি পাঠিয়েছে এই যন্ত্র। মাত্র ২৫ কিলোগ্রাম ওজনের এই যন্ত্র কিন্তু মাইক্রোওয়েভের সাইজের হলেও তার ক্ষমতা যে কাউকে চমকে দিতে পারে। নাসা এই যন্ত্রের হাত ধরেই চাঁদের পথে জিপিএস-এর বন্দোবস্ত করছে।
অচেনা স্থানে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা না করেই চিনিয়ে দেয় এই জিপিএস প্রযুক্তি। গন্তব্যে পৌঁছনোর রাস্তা বলে দেয় সহজেই। মানুষের কাছে এখন অন্ধের যষ্টি হয়ে উঠেছে এই জিপিএস।
ফোনে জিপিএস অন করে মানুষ যে কোনও অচেনা গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন সহজেই। কিন্তু সেটা পৃথিবীর গণ্ডি পার করে এবার চাঁদে পৌঁছে গেল।
চাঁদে ছোটার পথও এবার এই পথ প্রদর্শক দেখিয়ে দিতে পারবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী দিনে চাঁদে যে কোনও মিশনকে সফল করতে এবং সহজ করতে এই জিপিএস ব্যবস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। ফলে অনেক সহজ হয়ে যাবে চাঁদে যাতায়াত।
নাসা তাদের এই মিশনের নাম দিয়েছে ক্যাপস্টোন। আপাতত ১ বছর চাঁদের ধারে ঘুরতে থাকবে এই যন্ত্রটি। চলবে নানা গবেষণা।
আগামী দিনে মানুষ চাঁদে যাতায়াত অনর্গল করতে চাইছে। সেজন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন তা এমন সব নতুন বন্দোবস্ত পাকা করতে চাইছে তা বলাই বাহুল্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা