কিউরিওসিটির পাঠানো মঙ্গলগ্রহের ২টি মায়াবী মুহুর্তের ছবিতে মুগ্ধ বিজ্ঞানীরাও
চোখ আটকে গেল বিজ্ঞানীদেরও। এমনই এই ২টি ছবির মায়াবী মুহুর্ত তাঁদের কাছে পৌঁছে দিল নাসার কিউরিওসিটি রোভার। যাকে পোস্টকার্ড বলছেন তাঁরা।
শুধু পৃথিবী বলেই নয়, যে কোনও গ্রহেরই নিজস্ব কিছু সৌন্দর্য থাকে। যা চোখ জুড়িয়ে দিতে পারে। চোখ আটকে দিতে পারে। মঙ্গলগ্রহের ক্ষেত্রেও যে সেটা প্রযোজ্য তা সেখান থেকে পাঠানো ২টি ছবি প্রমাণ করে দিল। ২টি ছবি ২টি আলাদা সময়ে তোলা। তবে একই দিনে।
মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে বেরিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়ে চলেছে নাসার যান কিউরিওসিটি রোভার। যা এখন গল ক্রেটারে ঘোরাফেরা করছে। সেখানেই একটি পাহাড়ের ঢালে থাকাকালীন এই ২টি ছবি তোলে কিউরিওসিটি।
ছবি ২টি তোলা হয়েছে গত ৮ এপ্রিল। মঙ্গলগ্রহের স্থানীয় সময় অনুযায়ী একটি ছবি তোলা হয়েছে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি তোলা হয়েছে বিকেল ৩টে ৪০ মিনিটে।
২টি ছবিতে আলোর বদল স্পষ্ট। মঙ্গলে ভোর হলে তার রূপ আর বিকেলের রূপ একদম আলাদা। পৃথিবীতেও যেমন মোহময় হয় ভোর আর শেষ বিকেল, মঙ্গলেও ঠিক তাই। এতটাই মোহময় মায়াবী ২টি ছবি।
সকালের রূপ যেমন মুগ্ধ করে, বিকেলের মায়াবী আলো তেমনই বিভোর করে দিতে পারে। এক রুক্ষ প্রান্তরের এই গ্রহে যে এমন অপরূপ আলো খেলে তা দেখে বিজ্ঞানীরাও মুগ্ধ।
প্রসঙ্গত কিউরিওসিটি একটি সালফেট পূর্ণ এলাকার খোঁজ পেয়েছে। যেখানে এক সময় একটি টলটলে জলের দিঘি ছিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা