মৎস্যের ভরসায় সমুদ্রের প্রায় ২০ হাজার ফুট নিচে মানুষ নিয়ে যাবে ভারত
মহাকাশে তাদের ক্ষমতা সারা বিশ্বকে ইতিমধ্যেই বোঝাতে পেরেছে ভারত। এবার সমুদ্রের গভীরে পৌঁছতেও যে ভারত পিছিয়ে নেই তা বোঝাতে মৎস্যে ভরসা রাখছে দেশ।
![National Institute of Ocean Technology](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2025/02/national-institute-of-ocean-technology.jpg)
লক্ষ্য ২০২৬ সাল। তারমধ্যেই অন্তত ৩ জন মানুষকে নিয়ে সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার গভীরে পৌঁছবে ভারত। মৎস্যের ভরসায় সেই লক্ষ্যই স্থির হয়েছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং তেমন ভরসাই দিলেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্ব জেনে গিয়েছে ভারতের ক্ষমতা। পৃথিবীর হাতেগোনা প্রথমসারির কয়েকটি দেশের তালিকায় এখন ভারতের স্থান। এবার মহাকাশের পাশাপাশি জলের তলাতেও যে ভারত কম যায়না তা বোঝাতে মৎস্যে ভরসা রাখছে ভারত।
ভারতের প্রথম এমন এক সাবমার্সিবল যন্ত্র যা ৩ জনকে নিয়ে জলের গভীরে নেমে যেতে সক্ষম। কতটা গভীরে? ৬ হাজার মিটার বা ১৯ হাজার ৬৮৫ ফুট গভীরে পৌঁছে যেতে সক্ষম মৎস্য। তাতে করেই সমুদ্রের ওই গভীরতায় পৌঁছে যেতে চলেছে ভারত।
যেখানে পরীক্ষা করে দেখা হবে গভীর সমুদ্রের জীব বৈচিত্র্য। ভারতের ডিপ ওশান মিশন-এর অন্তর্গত এই লক্ষ্যকেই এখন পাখির চোখ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতের লক্ষ্য মানুষ নিয়ে সমুদ্রের অনেক গভীরে পৌঁছে যাওয়া। সমুদ্রের অতি গভীরে থাকা প্রাণ ও জড়বস্তুর বৈচিত্র্য সম্বন্ধে আরও বিশদে জানার চেষ্টাই এই মিশনের লক্ষ্য।
টাইটানিয়াম ও মিশ্রধাতুতে তৈরি এই মৎস্য নামে গভীর সমুদ্রে মানুষ নিয়ে পৌঁছতে পারা যানটি ২০২৬ সালের মধ্যেই এই যাত্রা করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। এই লক্ষ্য পূরণ হলে ভারত ফের বিশ্বের দরবারে আরও এক বিরল সাফল্যের অধিকারী হতে পারবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা