গত মঙ্গলবার সন্ধে। নয়ডার বাড়িতে নিজের ঘরে একাই ছিল বছর ১৫-র নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। তার পরিবারের দাবি তাঁরা একসময়ে মেয়েকে ডাকতে এসে দেখতে পান ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মেয়ের দেহ। দ্রুত মেয়েকে নিয়ে সেক্টর ২৭-এর একটি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের দাবি, দিল্লিতে যে স্কুলে সে পড়ত সেখানকার ২ শিক্ষক তার শ্লীলতাহানি করে। সেকথা বাইরে কাউকে জানালে তাকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা বলে অভিযোগ। মৃতার ঘরে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না গেলেও তার বাবার দাবি, তাঁর মেয়ে গত ২ মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সে বাড়িতে জানিয়েওছিল যে তার স্কুলের ২ শিক্ষক তাকে বাজেভাবে স্পর্শ করে। ভয় দেখায় পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার।
কয়েকদিন আগে রেজাল্টেও দেখা যায় একটি পরীক্ষায় মাত্র ৭ নম্বর পেয়েছে সে। মৃতার বাবার দাবি, তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়েছে অভিযুক্ত ২ শিক্ষক। তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। পুলিশ ওই ২ শিক্ষক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও এমন কিছুই হয়নি বলেই পাল্টা দাবি করেছে স্কুল।