ইতিহাস বলে, কোনও এক যুগে খোলা বাজারে নিলামে বিক্রি হতেন বন্দিনী সুন্দরীরা। দরদাম করে তাঁদের ঘরে নিয়ে গিয়ে তুলত বিত্তশালী ক্রেতারা। একবিংশ শতকে মধ্যযুগীয় সেই বর্বর প্রথার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে এদেশের বুকেই। এই অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাগপতে নিলামে বিক্রি হয়ে যান এক মহিলা। ২২ হাজার টাকা দিয়ে দালালের কাছ থেকে তাঁকে কিনে নেন মুকেশ নামে এক যুবক। যদিও নিলামের সময় পুরো টাকাটা দিতে পারেননি তিনি। ১৫ হাজার টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর বাকি ছিল আরও ৭ হাজার টাকা। বাকি টাকাটা বিয়ের পর শোধ করে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিকে ওই তরুণীকে বাড়ি এনে তাঁকে বিয়ে করেন মুকেশ। কিন্তু সময়মত বকেয়া টাকা শোধ দিতে পারেননি তিনি। অভিযোগ, টাকা শোধ না হওয়ায় যুবকের বাড়ি এসে চড়াও হয় মনু নামে এক ব্যক্তি। বারবার কাকুতি মিনতি জানিয়েও লাভ হয়নি। বাকি টাকা না দেওয়ায় যুবকের স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সে। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীর সঙ্গে এমন মর্মান্তিক বিচ্ছেদ সম্ভবত মেনে নিতে পারেননি মুকেশ। হতাশায়, ক্ষোভে গত ১৯ মার্চ তিনি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি পুলিশের।
নিলামে মহিলা বিক্রি, তারপর বিয়ে এবং সবশেষে টাকা না মেটানোয় যুবকের আত্মহত্যার খবর কানে আসে স্থানীয় প্রশাসনের। ঘটনার তদন্তে নেমে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত মনুর খোঁজে তল্লাশি চলছে। মহিলা পাচারের একটি বড় চক্রের সঙ্গে সে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।