২ মেয়ে ও ২ ছেলেকে নিয়ে ভরা সংসার। অথচ মায়ের মনে ঢোকা সন্দেহের বিষ তা ছারখার করে দিল। মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বইয়ের খারঘর এলাকার ঘটনা। ওই এলাকায় ১৬ বছরের মেয়ে ও ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন এক দম্পতি। তাঁদের আর ২ সন্তান মানুষ হচ্ছিল রাজস্থানে আত্মীয়ের বাড়িতে। অভিযোগ, সম্প্রতি মেয়ের চরিত্র নিয়ে মারাত্মক সন্দেহ ঢুকেছিল তার মায়ের মনে। স্বামীর সঙ্গে মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক আছে বলে মনে করতেন ৩৬ বছরের ওই গৃহবধূ। প্রতিবেশিদের অভিযোগ, এই নিয়ে মেয়েকে মাঝেমধ্যেই মারধর করতেন তিনি। মায়ের এমন সাংঘাতিক কুরুচিকর অভিযোগ মানতে পারেনি কিশোরী। দম্পতির পরিচিতদের দাবি, গঞ্জনা ও অপমানের হাত থেকে মুক্তি পেতে গত ফেব্রুয়ারিতে ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় সে। অভিযোগ, তারপরেও মায়ের লাঞ্ছনা রেহাই দেয়নি কিশোরীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪ মার্চ সকালে সকালে মায়ের সঙ্গে একই বিষয় নিয়ে ফের কথা কাটাকাটি হয় কিশোরীর। রাগের মাথায় মেয়ের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় তার মা। ঘটনাস্থলেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় কিশোরীর। এরপর ফোনে স্বামীকে ঘটনার কথা জানায় ওই মহিলা। তারপর ওই দম্পতি কিশোরীর দেহ সৎকারের বন্দোবস্ত শুরু করে। মৃতার মা-বাবার আচরণে সন্দেহ জাগে প্রতিবেশিদের মনে। তাঁরা খবর দেন পুলিশকে। ঘটনার তদন্তে নেমে তারা মৃত কিশোরীর অভিভাবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। জেরায় মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে তার মা। গত বুধবার তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোরীকে খুন করা হয়েছে বুঝেও কেন চুপ করে ছিলেন তার বাবা, সেদিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।