৫ দিনের লড়াই শেষ হয়ে গেল। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলের মাশুল প্রাণ কেড়ে নিল নৈতিক গৌড়ের। ৬ বছরের নৈতিক মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদ জেলার সাঁই ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়ত। নাবালকের অভিভাবকের দাবি, রোজ স্কুল ভ্যানে করেই স্কুলে যেত নৈতিক। গত ২০ মার্চ স্কুল ভ্যান আসেনি। তাই ওইদিন নৈতিক তার এক আত্মীয় নীতীশ গৌড়, যিনি নৈতিকের স্কুলের ডিরেক্টর, তাঁর গাড়ি করে স্কুলে যায়। গাড়িতে স্কুলের আরও বেশ কয়েকজন কর্মীও ছিলেন। স্কুল ডিরেক্টরের দাবি, স্কুলে পৌঁছানোর পরে নৈতিক কিছুতেই গাড়ি থেকে নামতে চায়নি। তাই গাড়ির ভিতর তাকে লক করে স্কুলে ঢুকে যান তিনি। তাঁর আরও দাবি, স্কুলের এক শিক্ষিকাকে পরে গাড়ির ভিতর থেকে নৈতিককে বার করার নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন।
পুলিশের অনুমান, সম্ভবত ওই শিক্ষিকা তাঁর ছাত্রকে পরে গাড়ি থেকে বার করতে ভুলে যান। ফলে চারদিক বন্ধ গাড়ির ভিতরেই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় নৈতিকের। ৪ ঘণ্টা ওইভাবেই বিনা অক্সিজেনে গাড়ির মধ্যে ছটফট করতে থাকে সে। পরে গাড়ির মধ্যে থেকে অচৈতন্য অবস্থায় নৈতিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় নৈতিকের। এরপরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হোসাঙ্গাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা। তাঁর অভিযোগ, অভিযুক্ত স্কুল ডিরেক্টর তাঁর আত্মীয় হওয়ায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের ওপর পারিবারিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তাই পুলিশ ঠিকমত তদন্ত না করলে তিনি সিবিআই তদন্ত চেয়ে সরকারের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন মৃতের বাবা। মৃতের পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।