রাত ৯টার বুলেটিনটা তাঁরই ছিল। সেই বুলেটিন পেশাদারভঙ্গিতেই শেষ করেন বছর ৩৬-এর ভেঙ্কানাগারি রাধিকা রেড্ডি। তখনও তাঁর সহকর্মীরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, এটাই হাসিখুশি স্বভাবের রাধিকার শেষ বুলেটিন। যেমন অন্যান্য দিন হয়। তেমনই বুলেটিন শেষ করে মেকআপ তুলে হায়দরাবাদের মুসাপেট এলাকায় তাঁর ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন রাধিকা রেড্ডি। ঘড়িতে তখন পৌনে রাত ১১টা। পুলিশ জানাচ্ছে, তারপর ফ্ল্যাটে ঢুকে নিজের ব্যাগ রেখে সোজা উঠে যান আবাসনের পাঁচতলায়, ছাদে। সেখান থেকে নিমেষে লাফ দেন নিচে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ রাধিকার ব্যাগ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মস্তিষ্কই আমার শত্রু’।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছ, রাধিকার সঙ্গে মাস ছয়েক আগেই তাঁর স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন একটি ফ্ল্যাটে মা-বাবার সঙ্গেই থাকতেন রাধিকা। তাঁর একটি ১৪ বছরের ছেলে আছে। যে স্প্যাসটিক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।