National

পাথর ঘষে ফর্সা করার চেষ্টা, অন্ধবিশ্বাসের অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত শিশু

ছেলের গায়ের রং কালো। এ নিয়ে বেজায় অখুশি ছিলেন সুধা তিওয়ারি। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ওই মহিলার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের নিশাতপুর এলাকায়। মহিলার স্বামী একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। নিঃসন্তান দম্পতি দেড় বছর আগে গোয়ার মতুরছায়া অনাথ আশ্রম থেকে একটি পুত্রসন্তান দত্তক নেন।

সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ছেলের গায়ের রং নিয়ে কিছুদিন যাবত অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা। ছেলেকে ফর্সা করতে উঠেপড়ে লাগেন তিনি। কিন্তু ফর্সা করার সব উপায় একে একে ব্যর্থ হয়। অভিযোগ, এই সময়ে একজন পরামর্শ দেয় যে কালো পাথর দিয়ে শিশুর সারা শরীর রগড়ে রগড়ে ঘষলেই নাকি ত্বকের রং ফর্সা হয়ে যাবে। সেকথায় বিশ্বাস করে ওই মহিলা কালো পাথর দিয়ে ছেলের গা জোরে জোরে ঘষে দিতেন। ছেলেকে ফর্সা করার নামে বেশ কিছুদিন ধরে দিব্যি চলছিল এহেন অন্ধবিশ্বাসের ‘অত্যাচার’।


ঘটনাটি দেখে ওই মহিলার এক আত্মীয়া থাকতে না পেরে শিশু সুরক্ষা দফতরে বিষয়টি জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা এসে মারাত্মকভাবে জখম শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button