দাম্পত্য জীবন পা রেখেছে ৩ বছরে। এই ৩ বছরে স্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের পরেও স্ত্রী সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি। অভিযোগ, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে তাই একসময় স্ত্রীর ওপর শুরু হয় স্বামীর বিকৃত যৌন নিপীড়ন। পণের অত্যাচার তো ছিলই। তার ওপর দিনের পর দিন স্বামীর বিকৃত যৌন আচরণ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায় স্ত্রীর। গত ৭ মার্চ বেঙ্গালুরুর বিদ্যারণ্যপুরা থানায় যান ওই মহিলা। তাঁর স্বামী মঞ্জুনাথের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। তাঁর স্বামী পেশায় একজন চিকিৎসক।
৩৮ বছরের চিকিৎসকের থেকে বয়সে ১৫ বছরের ছোট তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্ত্রীকে উত্তেজক পর্ন ভিডিও দেখার জন্য চাপ দিতেন মঞ্জুনাথ। ওই মহিলা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, পর্ন ছবি জোর করে দেখানোর পর ছবির মত করে যৌন মিলনে লিপ্ত হতে তাঁকে বাধ্য করতেন মঞ্জুনাথ। এমনকি পর্ন ভিডিওর দৃশ্যের মত শরীরী খেলায় মেতে না উঠলে স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও নাকি দেন পেশায় চিকিৎসক মঞ্জুনাথ। ওই মহিলার আরও দাবি, স্বামীর কাজে তাঁর দেওর রঙ্গনাথ দাদাকে মদত দিত। স্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মঞ্জুনাথ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।