ঝাড়ফুঁকের নামে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তান্ত্রিককে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিলেন বিচারকরা। ওষুধে পেটের ব্যথা না কমায় গত বছর জুলাইতে বৃন্দাবনের ওই তান্ত্রিকের আশ্রমে স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে যান ওই মহিলা। উত্তরপ্রদেশের হাতড়াস এলাকায় তাঁর বাড়ি। নির্যাতিতার দাবি, আশ্রমের দোতলায় রাত ১০টার পর শুরু হয় ঝাড়ফুঁকের প্রক্রিয়া। মহিলার স্বামীকে একটি জ্বলন্ত প্রদীপ হাতে নিচে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রদীপের আগুন না নেভা অবধি মহিলার স্বামীকে নিচে অপেক্ষা করতে নির্দেশ দেয় তান্ত্রিক বাবা দ্বারকানাথ। অভিযোগ, এরপরেই নির্জন আশ্রমের বদ্ধ ঘরে তান্ত্রিক যৌন নিগ্রহ করা শুরু করে ওই মহিলাকে। প্রতিবাদ জানালে মুখ চেপে ধরে জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওই মহিলার।
অত্যাচারিতা মহিলার আরও দাবি, পেটের রোগের মূল কারণ ‘অপশক্তি’-র প্রভাব তাড়াতে পরেরদিন সকালে ফের তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ঝাড়ফুঁকের নামে সেই যৌন অত্যাচার আর মেনে নিতে পারেননি তিনি। বাড়ি এসে স্বামীকে আসল ঘটনার কথা জানান। গতবছর ২২ জুলাই থানায় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। গত বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। বাবা দ্বারকানাথকে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তার সাজা ঘোষণা করে স্থানীয় আদালত। ২৫ বছর কারাদণ্ডের সাজা ধর্ষক তান্ত্রিকের।