কথায় বলে মদ, জুয়া, পাশা, তিন সর্বনাশা। উত্তরপ্রদেশের কনৌজের রামলালপূর্বা গ্রামের ঘটনা শাস্ত্রীয় বচনের সেই সত্যতাকেই তুলে ধরল। অভিযোগ, গ্রামের এক যুবক শ্রীকান্তের মদ্যপানের নেশা সাংঘাতিক। নেশার জোগাড় করতে প্রায়ই সে দাদা সোবরানের ওপর জুলুমবাজি করত। ভাইয়ের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে তার হাতে নেশার টাকা তুলে দিতেন দাদা সোবরান। গত বৃহস্পতিবার শ্রীকান্ত মদ কিনতে টাকার জন্য ফের দাদার কাছে যায়। এদিকে দিনের পর দিন যুবকের মাত্রাতিরিক্ত নেশার জন্য প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়ছিল তার পরিবার। তাই এবারে ভাইকে টাকা দিতে আর রাজি হননি দাদা। অভিযোগ, টাকা না পেয়ে দাদার ওপর খেপে গিয়ে চড়াও হয় শ্রীকান্ত।
রাগের মাথায় দাদার নাক কামড়ে ছিঁড়ে নেয় সে। এমনকি দাদার পেটে ও হাতেও শ্রীকান্ত কামড় বসিয়ে দেয় বলে পুলিশকে জানায় আক্রান্তের পরিবার। তাঁদের দাবি, শুধু দাদাকেই নয়, প্রতিবাদ করলে শ্রীকান্ত তার বাবাকেও কামড়ে দেয়। মা ও কাকাকে ব্যাপক মারধর করে। পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় দাদার নাক কামড়ানোর বিষয় এবং বাড়ির লোকের দাবি অস্বীকার করেছে শ্রীকান্ত। তার পাল্টা দাবি, বাড়ির লোক নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মারামারি করেছে। অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।